বকশীগঞ্জে ডিজি প্রতিনিধির ওপর হামলার অভিযোগ!

বকশীগঞ্জের মালিরচর মৌলভী পাড়া দাখিল মাদরাসা।ছবি:বাংলারচিঠিডটকম

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের বকশীগঞ্জে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা পণ্ড করতে ডিজি প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।

২৫ ফেব্রুয়ারি বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার মালিরচর মৌলভী পাড়া দাখিল মাদরাসায় এঘটনা ঘটে। পরে নিরাপত্তাজনিত কারণে নিয়োগ পরীক্ষা কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হয়।

২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে এঘটনায় বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মাদরাসার সুপার মো. আব্দুছ ছাত্তার।

থানায় দায়েরকৃত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওই মাদরাসায় নবসৃষ্ট একজন নিরাপত্তা কর্মী ও একজন আয়া পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষার্থীদের নিকট চিঠি ইস্যু করা হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টায় ওই মাদরাসায় আয়া পদে ৮ জন এবং নিরাপত্তা প্রহরী পদে ৭ জন অংশ গ্রহণ করার কথা ছিল। এদিন লিখিত ও সাক্ষাতকারের জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করেন মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।

দুপুর সাড়ে ১২টায় পরীক্ষা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এর প্রতিনিধি উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ছরুয়ার আলম, মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবদুল হামিদ ও শিক্ষক প্রতিনিধি মাদরাসায় উপস্থিত হলে স্থানীয় গোলাম সারোয়ার, খায়রুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল খালেকসহ তাদের লোকজন ডিজি প্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্টদের হামলা চালায়। এক পর্যায়ে নিয়োগ কমিটির কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে অভিযুক্তরা।

খবর পেয়ে বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে নিরাপত্তাজনিত কারণে নিয়োগ পরীক্ষার কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।

নিয়োগ পরীক্ষা পণ্ড করতে গিয়ে ডিজির প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের ওপর হামলার ঘটনায় ২৬ ফেব্রুয়ারি ৭ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মাদরাসার সুপার মো. আব্দুছ ছাত্তার।

হামলার বিষয়ে অভিযুক্ত খায়রুল ইসলাম জানান, ডিজি প্রতিনিধির ওপর হামলার প্রশ্নই আসে না। তিনি ঘটনাস্থলে এলেও এক মিনিটও অবস্থান করেন নি।

আরেক অভিযুক্ত ব্যক্তি জানান, নিয়োগ পরীক্ষা পণ্ড করতে নয় স্থানীয় এলাকাবাসী মাদরাসা সুপার আব্দুছ ছাত্তারের নিয়োগ বাণিজ্যের প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল।

মাদরাসার সুপার মো. আব্দুছ ছাত্তার জানান, অভিযুক্তরা মাদরাসার নিয়োগ কার্যক্রম পণ্ড করতে দীর্ঘদিন থেকে অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। একারণে তারা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগও অস্বীকার করেন এই সুপার।

বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. সোহেল রানা জানান, এবিষয়ে মাদরাসার সুপার একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।