সরিষাবাড়ীতে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের প্রচারণা ও পোস্টার লাগাতে বাধার অভিযোগ

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম : চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে (আনারস প্রতীকের) স্বতন্ত্র প্রার্থী সামস উদ্দিনের প্রচার-প্রচারণার কাজে ও পোস্টার লাগানোতে বাধার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ১২ ডিসেম্বর সন্ধায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উপমা ফারিসার কাছে ও উপজেলার নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাকসুদ আলমের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সামস উদ্দিন।

অভিযোগে সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সাল থেকে টানা চারবারের পোগলদিঘা ইউনিয়নে সুনামের সাথে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছেন সামস উদ্দিন। আগামী ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। তার এ নির্বাচনের প্রচারণার কাজে ও পোস্টার লাগাতে বাধা প্রয়োগসহ সর্মথকদের মারধর করে আসছে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল আলম মানিক এবং তার বহিরাগত সন্ত্রাসী বাহিনীরা। এ সন্ত্রাসী বাহিনীদের সশস্ত্র মহড়া ও তান্ডবে আতঙ্কিত হচ্ছে সাধারণ ভোটারা। এতে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণের আশঙ্কায় রয়েছে ইউনিয়নবাসী।

অপর দিকে, ভাটারা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদ খান বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগের থেকেই তার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা ভাংচুর লুটপাট করেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা। এ ছাড়া প্রচারণার কাজে পোস্টার লাগাতে বাধা দিয়ে আসছেন নৌকার সমর্থকরা। এ ঘটনায় জেলা রিটানিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

এ দিকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বোরহান উদ্দিন বাদল বলেন, বিএনপি দলীয় স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন অর রশিদ খান ও তার সমর্থকরা নৌকার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে দিচ্ছে। কোথাও পোস্টার লাগাতে দিচ্ছে না স্বতন্ত্র প্রাথীর সমর্থকরা। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

পোগলদিঘা ইউনিয়নের নৌকার প্রার্থী আশরাফুল আলম মানিক দম্ভের সাথে সাংবাদিকদের বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস মার্কার কোনো প্রকার প্রচার ও পোস্টার লাগানোর কাজ করতে দেওয়া হবে না। এতে যেকোনো ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সে প্রস্তুত।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাকসুদ আলম বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে গুরুত্বের সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে।