বকশীগঞ্জে করোনা মোকাবেলায় ১৮ দফা নির্দেশনা কার্যকরে মাঠে প্রশাসন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে পৌর শহরে মাইকিং করছেন ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় দফা সংক্রমণ ঠেকাতে এবং সরকারের দেওয়া ১৮ দফা নির্দেশনা কার্যকর করতে মাঠে নেমেছেন উপজেলা প্রশাসন।

করোনার সংক্রমণ রোধে সচেতনতা কার্যক্রমসহ ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হচ্ছে। সেই সাথে ব্যাপক প্রচারাভিযান চালানো হচ্ছে।

হঠাৎ করে দেশে করোনার সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় নতুন করে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে সরকার সংক্রমণ রোধে ১৮ দফা নির্দেশনা জারি করলে নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মানুষকে সচেতন করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্নিগ্ধা দাস ও বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ, প্রচারাভিযান, পথসভা ও মাস্ক ব্যবহারকারীদের ফুল দিয়ে বরণ সহ নানা কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।

বকশীগঞ্জ উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উপজেলা প্রশাসনের পাশাপাশি পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. প্রতাপ নন্দী, বকশীগঞ্জ থানার ওসি শফিকুল ইসলাম সম্রাট মাঠে কাজ করছেন। প্রতিদিনই তারা করোনার বিষয়টিকে সামনে নিয়ে মানুষকে সচেতন করছেন।

বকশীগঞ্জ থানা পুলিশের উদ্যোগে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পথসভা কার্যক্রম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা ও স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার জন্য প্রত্যেক দিন গণহারে মাইকিং করা হচ্ছে। গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে পরিবহন মালিক শ্রমিকের সাথে আলোচনা করে নির্দেশনা দিয়েছেন ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা।

কোথাও সরকারি নির্দেশনার ব্যতয় ঘটলে ব্যবস্থা নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইউএনও।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা জানান, আমরা প্রতিদিনই মানুষকে সচেতন করছি, কাউকে জরিমানা, বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করে যাচ্ছি। মানুষ সচেতন হলে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনা সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হবে। তিনি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় সবাইকে সরকারের দেওয়া ১৮ দফা নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন।