বামুনপাড়ায় বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে প্রশাসনের তদন্ত শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর পৌরসভার বামুনপাড়া এলাকায় বিরোধপূর্ণ ১৫ শতাংশ জমি নিয়ে অবশেষে জেলা প্রশাসন তদন্ত করে বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছে। ২১ অক্টোবর ওই জমি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ও অনশন কর্মসূচির পর জেলা প্রশাসন এ উদ্যোগ নিয়েছে।

জামালপুর শহরের হাইস্কুল মোড়ের সমমনা বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি ও জামালপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ দাবি করে আসছেন, জামালপুর পৌরসভার বামুনপাড়া এলাকার নুরুল হকের দেখভালের দায়িত্বে থাকা ১৫ শতাংশ জমির প্রকৃত মালিক ছিলেন স্থানীয় এস এম মাহফুজুর রহমান। গত ৭ এপ্রিল মাহফুজুর রহমানের কাছ থেকে সমবায় সমিতির সাবেক সভাপতি জাকির হোসেনের নামে ওই জমি ক্রয় করা হয়েছে। এ নিয়ে তারা ২১ অক্টোবর জামালপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ওই জমির বিষয়ে তাদের বৈধতা তুলে ধরেন।

একই দিনে ভুক্তভোগী নুরুল হক ও তার পরিবারের সদস্যরা তাদের বসতবাড়িতে হামলা, লুটতরাজ, নির্যাতন ও পৈত্রিকসূত্রে পাওয়া জমি জবরদখলকারীদের শাস্তির দাবিতে বেলা ১২টার দিকে জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আমরণ অনশন করেন। অনশন চলাকালে বেলা দেড়টার দিকে অতিরিক্ত জেলা হাকিম মো. সুহেল মাহমুদ অসহায় নুরুল হক ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন এবং তাদের অনশন ভাঙান।

পরে বিষয়টি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হকের নজরে এলে তিনি তাৎক্ষণিক জামালপুর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম এস এম মাজহারুল ইসলাম ও জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেমুজ্জামানকে সরজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আদেশ দিলে তারা বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বামুনপাড়া গ্রামে বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে যান।

জামালপুর সদরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস এম মাজহারুল ইসলাম বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, বিরোধপূর্ণ ওই জমি পরিদর্শনের সময় দু’পক্ষের সাথে কথা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে উভয়পক্ষকে জমির প্রয়োজনীয় দলিল ও কাগজপত্রসহ আমার কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য ১৫ দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। উভয় পক্ষের দলিল ও কাগজপত্র দেখে জমির বৈধ মালিকানা বিষয়ে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হবে। এ সময়ের মধ্যে বিরোধপূর্ণ ওই জমিতে উভয় পক্ষের উপস্থিতির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একই সাথে ওই ঘর-বসতভিটা সদর থানার ওসির তত্ত্বাবধানে থাকবে বলে উভয়পক্ষকে জানানো হয়েছে।