নকলায় পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, আহত ৪

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলায় পৃথক দুই দুর্ঘটনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক, দুই যাত্রীসহ তিনজন নিহত ও গুরুতর আহত আরো চারজন। ২২ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী যাত্রীবাহী বাস ও নকলাগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের উপজেলার গণপদ্দী ইউনিয়নের চিথলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও অটোরিকশা নকলা থানার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

হতাহতরা হলেন- শেরপুর সদর উপজেলার খুনুয়া এলাকার শামছুল হকের ছেলে অটোরিকশার চালক বিল্লাল হোসেন (৪০), অটোরিকশার যাত্রী হাতিমারা এলাকার হাবিবুর রহমান (৫৫) ও অজ্ঞাত এক যাত্রী নিহত হয়েছেন এবং অটোরিকশার যাত্রী জামালপুরের কাজিয়ারচর এলাকার মেহেদী হাসান (২২), নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের রামপুর এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৮), হানিফ উদ্দিনের মেয়ে হালিমা বেগম (৩৫) গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন, তাছাড়া নকলা উপজেলা পরিষদ মসজিদে সিলিং ফ্যান খুলে খন্দকার আলমগীর হোসেন নামে এক মুসল্লির মাথায় পড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা শেরপুরগামী যাত্রীবাহী বাস ও নকলাগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঢাকা-শেরপুর মহাসড়কের নকলা উপজেলার গণপদ্দী ইউনয়নের চিথলিয়া এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ সকল যাত্রী গুরুতর আহত হলে সবাইকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিল্লাল হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত ৪ যাত্রীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে পাঠালে সেখানে হাবিবুর রহমান ও অজ্ঞাত ওই যাত্রী নিহত হন। খবর লেখা পর্যন্ত অজ্ঞাত ওই যাত্রীর পরিচয় জানা যায়নি। অন্য এক যাত্রী জুয়েল মিয়াকে নকলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাস ও অটোরিকশাটি নকলা থানার হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে নকলা উপজেলা পরিষদ মসজিদে এশার ফরজ নামাজের পরে সুন্নত নামাজ পড়া অবস্থায় মসজিদের প্রথম কাতারের সিলিং ফ্যান পড়ে খন্দকার আলমগীর হোসেন গুরুতর আহত হলে তাকে নকলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।