বকশীগঞ্জের দুই বিএনপি নেতাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে দুই বিএনপি নেতাকে দলের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়েছে উপজেলা বিএনপি।একই সঙ্গে তাদের জায়গায় দুই নেতাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা সাতটায় এক বিবৃতির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আবদুল কাইয়ুম। অব্যাহতি প্রাপ্ত দুই নেতা হলেন মেরুরচর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম পুলক ও বগারচর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শফি আলম।

লিখিত বিবৃতি সূত্রে জানা যায়, ১৭ নভেম্বর উপজেলা বিএনপি এক রেজ্যুলেশন এর মাধ্যমে ওই দুই নেতাকে দল থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়। পরে সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ তুলে তাদের অব্যাহতি পত্রে সাক্ষর করেন উপজেলা বিএনপির আহ্বাক ফকরুজ্জামান মতিন ও সদস্য সচিব আবদুল কাইয়ুম।

১৭ নভেম্বর অব্যাহতি দেওয়া হলেও ১৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে তা সাংবাদিকদের নিশ্চিত করা হয়। এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের দুই নেতাকে দলের কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ায় তোলপাড় শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, ২ সেপ্টেম্বর বকশীগঞ্জ থানায় একটি গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় উপজেলা বিএনপির নেতাদের আসামি করা না হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতাদের আসামি করা হয়। ওই মামলায় মেরুরচর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম পুলক ও বগারচর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শফি আলমকে আসামি করা হয়। সম্প্রতি তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন। হঠাৎ দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাদের অব্যাহতি দেয়ায় তৃণমূল নেতাদের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে।

একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া ওই দুই নেতা তাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলার পর বকশীগঞ্জ ও দেওয়ানগঞ্জ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি এম রশিদুজ্জামান মিল্লাতের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করলে তাদের উপর ক্ষুব্ধ হন বকশীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি নেতারা। এরই জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলেও মনে করা হচ্ছে।

এর আগে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০১৬ সালে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা আবদুর রউফ তালুকদারকে বহিষ্কার করা হয়। যদিও গত ১২ নভেম্বর তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। আবার দুই নেতাকে অব্যাহতি দেওয়ায় অস্বস্তিতে রয়েছে তৃণমূল বিএনপির নেতা কর্মীরা। বকশীগঞ্জ বিএনপিতে এরকম বহিষ্কারাদেশ ও অব্যাহতি খেলা চলতে থাকলে দল অস্তিত্ব সংকেট পড়বে বলে মনে করেন বিএনপির কর্মী সমর্থকরা।