বকশীগঞ্জে বাল্যবিয়ে বন্ধ, কনের বাবা জেলে

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় চলতি জেএসসি পরীক্ষার্থী অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক মেয়েকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ওই মেয়ের বাবা জসিম উদ্দিনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী হাকিম ও বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ১ নভেম্বর রাতে উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের চিনারচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে এ সাজা দেন।

জানা গেছে, উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের চিনারচর গ্রামের সিএনজিচালক জসিম উদ্দিনের মেয়ে জহুরা খাতুন (১৩) স্থানীয় খেওয়ারচর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। জসিম উদ্দিন ১ নভেম্বর রাত আটটার দিকে তার বাড়িতে তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের বিল্লাল হোসেন নামের এক যুবকের সাথে বিয়ের আয়োজন করেন। বিল্লাল হোসেন কালিবাড়ী গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে।

এ বাল্যবিয়ের খবর পেয়ে বকশীগঞ্জের ইউএনও দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম রাতেই পুলিশ নিয়ে মেরুরচরের চিনারচর গ্রামে জসিম উদ্দিনের বাড়িতে অভিযান চালান। এ সময় বর ও বর পক্ষের লোকজন দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে মেয়ের বাবা জসিম উদ্দিনকে আটক করে ইউএনও কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ইউএনও রাতেই ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগে ২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে মেয়ের বাবা জসিম উদ্দিনকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। ২ নভেম্বর সকালে তাকে জামালপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

বকশীগঞ্জের ইউএনও দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, জেএসসি পরীক্ষার্থী অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে জানার সাথে সাথেই ওই বাড়িতে যাই। এ সময় বর ও বরপক্ষের লোকজন পালিয়ে যায়। পরে মেয়ের বাবাকে আটক করে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।