মাদারগঞ্জে সম্মানীভাতায় ৪০০ কর্মহীনকে খাদ্যসামগ্রী দিলেন মুক্তিযোদ্ধা আলতাফুর

মাদারগঞ্জে দরিদ্রদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন মুক্তিাযোদ্ধা মো. আলতাফুর রহমান আতা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

কারোনাকালে কেউ না খেয়ে মারা যাবে না- এই উপলব্ধিতে নিজের সরকারি সম্মানিভাতার টাকায় খাদ্য সামগ্রী কিনে গ্রামের অভাবী কর্মহীন মানুষদের মাঝে বিলিয়ে দিলেন যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলতাফুর রহমান আতা। তিনি ১১ মে সকালে জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়নের ৪০০ কর্মহীন অভাবী মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

জানা গেছে, মাদারগঞ্জ উপজেলার আদারভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফুর রহমান আতা তার ছয় মাসের মুক্তিযোদ্ধা ভাতা থেকে এক লাখ ৬৫ হাজার টাকা জমিয়েছেন। সেই টাকায় আদারভিটা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের কর্মহীন ৪০০ অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তা দিয়েছেন। প্রতিজন অসহায় মানুষকে পাঁচ কেজি করে চাল, এক কেজি করে মসুর ডাল ও আলু, এক লিটার তেল ও আধা কেজি করে লবণ দেওয়া হয়েছে।

১১ মে বেলা ১১টার দিকে ইউনিয়নের ষাইটের বাজার এলাকায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আলতাফুর রহমান আতা অসহায় মানুষের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। ত্রাণ বিতরণের সময় অন্যান্যের মধ্যে মাদারগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জীবনকৃষ্ণ সাহা ও সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন, আদারভিটা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

মুক্তিযোদ্ধা আলতাফুর রহমান আতা প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘দেখেন আমরা নয় মাস যুদ্ধ করেছি। আমি বুঝি যে দুর্যোগের সময় মানুষের কি করুণ পরিণতি হয়। করোনাভাইরাসের কারণে জেলা প্রশাসন জামালপুর জেলাকে লকডাউন করেছেন। এতে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় তাদের ঘরে খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিভিন্ন উদ্যোগ আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। প্রধানমন্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই আমার সরকারি সম্মানী ভাতার টাকায় সামান্য খাদ্য সামগ্রী নিয়ে অভাবীদের পাশে দাঁড়াইছি। এটাই আমার শান্তি।’

তিনি আরো জানান, আদারভিটা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে পরিষদের বরাদ্দের খাদ্য সামগ্রীগুলোও যারা পাওয়ার যোগ্য তাদের সঠিক নাম তালিকা করে দরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। শুধু সরকারি সহায়তার দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। সমাজের প্রতিটি মানুষকে যার কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়েই অসহায় মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।