ওয়াকার-উজ-জামান সেনাপ্রধান হওয়ায় নকলায় দোয়া মাহফিল ও স্মৃতিচারণ

চন্দ্রকোনা মিয়াবাড়ি জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিল ও স্মৃতিচারণা অনুষ্ঠিত। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

শফিউল আলম লাভলু
নিজস্ব প্রতিবেদক, নকলা (শেরপুর), বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুর সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের ফটিয়ামারী এলাকার কৃতি সন্তান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে পদোন্নতি দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ায় শেরপুরের নকলায় দোয়া মাহফিল ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ জুন শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা মিয়াবাড়ি জামে মসজিদ কমিটির আয়োজনে মসজিদ প্রাঙ্গণে এ দোয়া মাহফিল ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

চন্দ্রকোনা মিয়াবাড়ি জামে মসজিদ কমিটির সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মাহমুদুল হক দুলালের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন চন্দ্রকোনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান গেন্দু, মসজিদের জমিদাতা পরিবারের সদস্য মোকসেদুল হক শিবলু, বায়েজিদ ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী ও সাবেক ইউপি সদস্য সোহেল ও ইরাদ চৌধুরী। দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন চন্দ্রকোনা মিয়াবাড়ি জামে মসজিদের খতিব।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান অতিথিরা।

উল্লেখ্য, গত ১১ জুন সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগ পান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ওয়াকার-উজ-জামানকে সেনাবাহিনী প্রধান হিসেবে নিয়োগের বিষয়টি জানানো হয়। ২৩ জুন রবিবার থেকে আগামী তিন বছরের জন্য তিনি সেনাপ্রধান হিসেবে নিয়োগ পেলেন।

আইএসপিআর সূত্রে জানা যায়, লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ১৯৮৫ সালের ২০ ডিসেম্বর ১৩তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের সঙ্গে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, মিরপুর এবং যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। এ ছাড়া তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘মাস্টার্স অব ডিফেন্স স্টাডিজ’ এবং যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ, ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে ‘মাস্টার্স অব আর্টস ইন ডিফেন্স স্টাডিজ’ ডিগ্রি অর্জন করেন।

সুদীর্ঘ ৩৯ বছরের বর্ণাঢ্য সামরিক জীবনে ওয়াকার-উজ-জামান বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের পাশাপাশি নবম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং এবং সাভার এরিয়ার এরিয়া কমান্ডার, সেনাসদরে সামরিক সচিব এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ‘সেনাগৌরব পদক’ (এসজিপি) ও ‘অসামান্য সেবা পদক’ (ওএসপি)-এ ভূষিত হন।