মেলান্দহে স্বরকলার এক দশক পূর্তি অনুষ্ঠান, গুণীজন সংবর্ধনা

ক্রেস্ট গ্রহণ করেন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

আরজু আহম্মেদ
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

‘শত পুষ্পের বিকাশ সম্ভব হোক, শত মতের মধ্যে সুস্থ প্রতিযোগিতা চলুক’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে স্বরকলা জামালপুর এর এক দশক পূর্তি উপলক্ষে কবি, কাব্য প্রেমী, আবৃত্তি শিল্পী মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে তিনজন গুণী ব্যক্তিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

১৮ মে দুপুরে মেলান্দহ মির্জা আজম আধুনিক অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা, গুণীজন সংবর্ধনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

স্বরকলা জামালপুরের সভাপতি শেখ ফজলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর মো. জাওয়াদুল হক।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও সংবর্ধিত অতিথিবৃন্দ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেলান্দহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবা হক, মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র শফিক জাহেদী রবিন, সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মনোয়ার হোসেন মুরাদ, মেলান্দহ উমির উদ্দিন পাইলট হাই স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোহন তালুকদার, জামালপুর গান্ধী আশ্রম ও মুক্তি সংগ্রাম জাদুঘরের ট্রাস্টি হিল্লোল সরকার, বিশিষ্ট রাজনীতিক আমির উদ্দিন প্রমুখ।

স্বরকলার এক দশক পূর্তি উপলক্ষে কবি ও ছড়াকার আশরাফুল মান্নান, নাট্যকার ও নির্দেশক আসাদুল্লাহ ফারাজী এবং সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম এই তিন গুণীজনকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। তাদের ক্রেস্ট, নগদ অর্থ ও উত্তরীয় পরিয়ে দেওয়া হয়। গুণীদের আলাদা আলাদাভাবে কৃতিত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডসহ জীবন বৃত্তান্ত পাঠ করা হয়।

বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বক্তারা স্বরকলার এমন আয়োজন ও উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, সুস্থধারার সংস্কৃতি চর্চার পাশাপাশি সাহিত্য, সংস্কৃতি, সামাজিক, মানবিক এবং অগ্রসর ও ইতিবাচক সাংবাদিকতাকে উৎসাহিত করতে অবদান রাখবে। সমাজের সকল অসংগতির বিরুদ্ধে সামাজিক জাগরণ সৃষ্টি করতে অতীতের ধারাবাহিকতায় স্বরকলা ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সংস্কৃতিকর্মীদের নতুন করে মুক্তির লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে হবে এবং এ লড়াইয়ে স্বরকলাকে নেতৃত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান বক্তারা।

আলোচনা সভা, গুণীজন সংবর্ধনা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।