খেলাধুলার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে হবে : প্রধানমন্ত্রী

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা এবং সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটাতে হবে। এর মধ্য দিয়ে সমাজে মানবিক বন্ধন আরও প্রিয় হয়ে উঠবে।’

৭ ফেব্রুয়ারি সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি রাজশাহীতে ৫২তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রত্যেক উপজেলা পর্যায়ে একটি করে মিনি স্টেডিয়াম তৈরি করছি। এরই মধ্যে কয়েকটির নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয়েছে। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, শরীরচর্চা এবং সাংস্কৃতিক চর্চার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশ ঘটবে। প্রচলিত খেলাধুলার পাশাপাশি দেশি খেলাধুলাকেও আমাদের চালু করা উচিত। দেশি খেলাগুলো যাতে হারিয়ে না যায়।’

ডিজিটাল বাংলাদেশের সার্থকতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে উঠেছে। যার প্রমাণ আমি আপনাদের সঙ্গে সংযুক্ত হয়েছি। এবার ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। সে ক্ষেত্রে আজকের শিক্ষার্থীরা আমাদের সৈনিক।’

স্কুল পর্যায়ের জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল বলেই দেশের ছেলেমেয়েরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলার সুযোগ পাচ্ছে। আমার দাদা, বাবা, ভাই-ভাবিও ক্রীড়াবিদ ছিলেন। দেশি খেলাকে গুরুত্ব দিতে হবে। খেলাধুলার মধ্য দিয়ে শরীরচর্চা, মানসিক বিকাশসহ একটা মানবিক বন্ধনের সৃষ্টি হয়। এ আয়োজন মাধ্যমিক পর্যায়েও করা হবে। আন্তঃস্কুল, আন্তঃকলেজ ও আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা গড়ে তোলা উচিত। এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা সমাজ ও দেশকে ভালোবাসতে শিখবে। ক্রীড়াকে সামনের দিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন উন্নত প্রশিক্ষণের। আট বিভাগে আটটি ক্রীড়া প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।’

ঢাকার বাইরে এবারই প্রথম স্কুল পর্যায়ের জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। ৫২তম শীতকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২৪ চূড়ান্ত পর্বে দেশের বিভিন্ন জেলার ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ৮২৪ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করছে। যার মধ্যে ছাত্রী ৩৮৪। এ আয়োজনটি দেশের অন্যতম বৃহৎ প্রতিযোগিতা। জেলা ও নগর শেষ করে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করছে। বকুল গ্রুপে রয়েছে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ, গোলাপ গ্রুপে ঢাকা এবং ময়মনসিংহ, পদ্ম গ্রুপে খুলনা ও বরিশাল এবং চাঁপা গ্রুপে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বিভাগীয় কমিশনার দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এবং মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।