শেখ হাসিনার স্বপ্ন পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা : ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
![](http://banglarchithi.com/wp-content/uploads/2023/11/stmd1.jpg)
লিয়াকত হোসাইন লায়ন
ইসলামপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষার মান উন্নয়নে প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছিলেন যাতে শিক্ষকরা নিয়মিত বেতন পান। তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শতভাগ ভর্তি নিশ্চিত করেছেন।
প্রতিমন্ত্রী জামালপুরের ইসলামপুরে ১০ নভেম্বর বিকালে ইসলামপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান লাভের মাধ্যমে সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। প্রজন্মের পর প্রজন্ম এক ধাপ এগিয়ে থাকতে পারে সে জন্য ন্যানো-টেকনোলজি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষা লাভের সুযোগ তৈরি করতে ৩৯টি হাইটেক পার্ক, কম্পিউটার ইনকিউবেশন ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করেছে সরকার। শিক্ষার্থীকে স্বাধীন বাংলাদেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
![](http://banglarchithi.com/wp-content/uploads/2023/11/stmd2.jpg)
তিনি বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছেন। উন্নয়নের এ ধারা অব্যাহত রাখতে শিক্ষার্থীদের তথ্য ও প্রযুক্তি শিক্ষায় গুরুত্ব দিতে হবে। নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে বাংলাদেশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে এক সময় উন্নত বিশ্ব সন্দেহ পোষণ করত, তারাই আজ বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণেই আজ তা সম্ভব হয়েছে।
উপজেলার স্কুল, কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দের আয়োজনে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আব্দুস সালাম, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মজিবর রহমান শাহজাহান, অধ্যক্ষ জামাল আবু নাছের চৌধুরী চার্লেস, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আকন্দ।
এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক বক্তব্য রাখেন। এ সময় উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা অংশ নেন।