ইসলামপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাছপালা দুইহাজার বাড়িঘর, শতাধিক আহত

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়-হাওয়ায় লন্ডভন্ড হয়ে গেছে প্রায় দুই হাজার বাড়িঘর। গাছপালাসহ ফসলি জমির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ১৬ মে রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আঘাত হানে। এতে উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন ও পৌর শহরের বিভিন্ন গ্রামে কাঁচাপাকা বাড়িঘর বিধ্বস্ত হওয়াসহ গাছপালা ও আবাদি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

জানা গেছে, নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বাড়িঘর বিধ্বস্তসহ হাড়গিলা উচ্চ বিদ্যালয়, ঢেংগাড়গড় নুরল হুদা আলিম মাদরাসা, স্থাপনাসহ উপজেলার তিনটি প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়ে গেছে। ঝড়ে পৌর শহরের নটারকান্দা গ্রামের আহসান উদ্দিনের স্ত্রী উসনা বেগম, প্রতিবন্ধী মীম আক্তার, আ. সালামের স্ত্রী ফুলেছা বেগম, মজনু মিয়ার ঘরে গাছ পড়ায় বসত ঘরটি দিখন্ডিত হয়ে যায়।

ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

এছাড়াও উত্তর দরিয়াবাদ গ্রামের হুআকবরের স্ত্রী হনুফা বেগম, মতি শেকের ছেলে বিল্লাল হোসেন, আকবর হোসেনের ছেলে আজিমুদ্দিন শেখ, ধর্নাপাড়া গ্রামের ফরিজ উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিন ও উকিল উদ্দিনের ছেলে আহালু শেখের বসত ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কুলকান্দি ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে আলম মিয়া, ছাত্তারের ছেলে মোতালেব আলী খন্দকার, কোরবান আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম, ইদ্রিস আলীর ছেলে হামেদ খন্দকারের বসতঘরের টিন উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ায় তারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবন যাপন করছেন।

অন্যদিকে বেলগাছা ইউনিয়নের ফকির পাড়া গ্রামের জাফরের ছেলে আসাদ আলী, চান ফকিরের ছেলে ফরিদ, সামসুল হকের ছেলে আশরাফ আলী, সাদা শেখের ছেলে রহমান, মুন্নাফ আলীর ছেলে খাজা মিয়ার ঘর ঝড়ে উড়ে গেছে।

ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদী হাসান টিটু জানান, ঝড়ে বিধ্বস্ত বাড়িঘর পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করা হচ্ছে।

জেলা পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছি। চাল ও শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানভীর হাসান রুমান জানান, শতাধিক মানুষ ঝড়ে আহত হয়েছে, বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেছি। বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিধ্বস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি বলেন, খুব কষ্ট হচ্ছে ঝড়ে আমার এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।