বঙ্গমাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে দিনব্যাপী গবেষণা-প্রকাশনা মেলা অনুষ্ঠিত

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা-প্রকাশনা মেলা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. কামরুল আলম খান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) প্রথমবারের মতো দিনব্যাপী গবেষণা-প্রকাশনা মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।৩ এপ্রিল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান একাডেমিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত গবেষণা-প্রকাশনা মেলার উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. তোফাজ্জল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

প্রথমবারের মতো গবেষণা-প্রকাশনা মেলা সফলভাবে আয়োজনের ক্ষেত্রে গবেষণা সেলসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদানের জন্য উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. কামরুল আলম খান সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

একই সঙ্গে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা সীমাবদ্ধতা স্বত্ত্বেও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার সংস্কৃতি তৈরি এবং নতুন শতকে বিশ্ববিদ্যালয়কে যুগোপযোগী করে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই মেলা কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উপাচার্য বলেন, প্রতিবছর বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সেলের উদ্যোগে নিয়মিতভাবে এই মেলা আয়োজন করা হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে দেশি-বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের শিক্ষক-গবেষক ও শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

দেশের কল্যাণে গবেষণার বিকল্প নেই। জাতির কল্যাণে গবেষণা করতে হবে। আমরা জাতিকে একটি মেসেজ দিতে চাই যে, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পাশাপাশি বিশ্বমানের গবেষণাও সমান তালে চলবে। একদিন গবেষণা দিয়ে দেশ তথা বিশ্বে ব্র্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এই বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠবে বলে বিশ্বাস করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস স্থাপিত হলে সেখানে রিসার্চ সেন্টারসহ গবেষণার সর্বাধুনিক অনুষঙ্গ সংযোজন করা হবে বলে জানান দেশের খ্যাতিমান এই পদার্থবিজ্ঞানী।

গবেষণা সেলের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মাহমুদুল হাছানের সভাপতিত্বে ও সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক তাইয়্যেবা তাবাসসুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী রেজিস্ট্রার মো. আনিসুজ্জামানও বক্তব্য দেন। মেলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি বিভাগ ছাড়াও মাল্টিডিসিপ্লিনারি বিষয়ের শিক্ষক-গবেষকবৃন্দ তাদের গবেষণা ও প্রকাশনা প্রদর্শন করেন। এসব গবেষণা-প্রকাশনা মূল্যায়ন শেষে পুরস্কৃত করা হবে।