সরিষাবাড়ীতে দিগন্ত জুড়ে হলুদের সমারোহ, বাম্পার ফলনে খুশি কৃষক

সরিষাবাড়ীতে সরিষার হলুদ ফুলে ছেঁয়ে গেছে মাঠের পর মাঠ। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে মুগ্ধ মানুষ। এই অপরুপ সৌন্দর্যকে কাছ থেকে দেখতে প্রতিদিন আসছে নানা বয়সী মানুষ। সুন্দর এই মুহূর্তকে ছবির ফ্রেমে বন্দী করছেন দর্শনার্থীরা। উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বড়বাড়ীয়া এলাকা থেকে তোলা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সরিষার হলুদ ফুলে ছেঁয়ে গেছে দিগন্ত জোড়া মাঠ। বাতাসে দুলছে হলুদ ফুল। মাঠ জুড়ে যেন হলুদের সমারোহ। দূর থেকে দেখে মনে হয় মাঠ হলুদে চাদরে ঢাকা। সরিষার হলুদ ফুলে ছেঁয়ে গেছে মাঠের পর মাঠ। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে মুগ্ধ মানুষ। এই অপরুপ সৌন্দর্যকে কাছ থেকে দেখতে প্রতিদিন আসছে নানা বয়সী মানুষ। সুন্দর এই মুহূর্তকে ছবির ফ্রেমে বন্দী করছেন মানুষ। সরিষার হলুদ হাসিতে ভরেছে কৃষকের মন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছে স্থানীয় কৃষকরা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সরিষার হলুদ ফুলে ছেঁয়ে গেছে দিগন্ত জোড়া মাঠ। পৌষের হিমেল বাতাসে দোল খাচ্ছে হলুদ সরিষার ফুল। এ যেন এক অপরূপ সৌন্দর্যের চাদর বিছানো জমিন। শীতের শিশির ভেজা সকালে ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো উপজেলার প্রতিটি মাঠ জুড়ে কেবল চোখে পড়ছে সরিষার হলুদ ফুলের সমারোহ। যেন প্রকৃতি কন্যা সেজেছে হলুদবরণ সাজে। দিগন্ত জুড়ে সরিষা ফুলের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন আসছে নানা বয়সী মানুষ। সরিষার হলুদ হাসিতে ভরেছে কৃষকে মন। আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলনের আশা করছে স্থানীয় কৃষকরা।

সরিষাবাড়ীতে সরিষার হলুদ ফুলে ছেঁয়ে গেছে মাঠের পর মাঠ। ফুলের সৌন্দর্য দেখতে মুগ্ধ মানুষ। এই অপরুপ সৌন্দর্যকে কাছ থেকে দেখতে প্রতিদিন আসছে নানা বয়সী মানুষ। সুন্দর এই মুহূর্তকে ছবির ফ্রেমে বন্দী করছেন দর্শনার্থীরা। উপজেলার কামরাবাদ ইউনিয়নের বড়বাড়ীয়া এলাকা থেকে তোলা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, সরিষা প্রধানত আবাদ হয় দোঁআশ ও বেলে-দোঁআশ মাটিতে। অন্যান্য ফসলের তুলনায় এ অঞ্চলে সরিষার বেশি আবাদ হয়। বর্তমানে সরিষা একটি লাভজনক ফসলে পরিণত হওয়ায় ধীরে ধীরে সরিষা আবাদ বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি মওসুমে উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও সরিষা চাষ হয়েছে ৪ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। বারি-১৪, ১৭, ১৮ ও বিনা-৪ ও ৯ জাতের সরিষা চাষ হয়েছে বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সরিষার বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষীরা। অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত রোপণ করা বিভিন্ন জাতের সরিষার ফুলে ফুলে হলুদ বরণ ধারণ করেছে বিস্তীর্ণ মাঠ। বাজার মূল্য ভাল থাকলে সরিষা চাষীরা এবার অধিক লাভের আশা করছেন।

সরিষা চাষীরা জানায়, প্রতিবিঘা জমিতে সরিষা চাষে ৪/৫ হাজার টাকা খরচ হলেও কৃষকরা আশা করছেন উৎপাদিত সরিষা থেকে তারা দ্বিগুণ লাভ পাবেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অন্য বছরের তুলনায় এবার সরিষার ফলন বেশি হবে।

ফুলের সৌন্দর্য দেখতে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, সরিষা ফুলের এই অপরুপ সৌন্দর্যকে দেখতে অনেক দূরদূরান্ত থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে প্রতিদিন দেখতে আসছে দর্শনার্থীরা। সরিষা ফুলের সৌন্দর্যকে নিজের সাথে স্মৃতি করে রাখতে তুলছে ছবি।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ৮ শত হেক্টর জমিতে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও সরিষা চাষ হয়েছে ৪ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সরিষা চাষীদের সার্বিক সহযোগিতা করে আসছে। সরিষার বাম্পার ফলন হওয়ায় এবার সরিষা চাষীরা লাভবান হবেন বলে তিনি জানান।