মহানবী অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়ে জ্বেলেছেন চিরসত্যের আলো: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর প্রদর্শিত পথে চলার আহ্বান জানিয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেছেন, মহানবী অন্ধকার যুগের অবসান ঘটিয়ে জ্বেলেছেন চিরসত্যের আলো। তিনি বিশ্ব শান্তি ও মানবতার পথ প্রদর্শক।

৯ অক্টোবর রাজধানীর গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ:) উপলক্ষে আশেকানে রহমানিয়া মইনিয়া সহীদিয়া মাইজভান্ডারীয়া আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু ইসলামের কল্যাণে কাজ করে গেছেন উল্লেখ করে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণসহ ইসলামের উন্নয়নে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরেন।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহ সুফি মাওলানা সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারী। ভক্তদের নবীর দরূদ বেশি বেশি আমল করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দয়াল নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.) এর আদর্শই উত্তম আদর্শ। তাকে অনুসরণ অনুকরণ করে সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালনার বিকল্প নেই।’ একইসঙ্গে তিনি নবীর দেখানো পথ অনুসরণ করে নামাজ, নবীর দরূদ ও সালাম কায়েমের জন্য ভক্তদের প্রতি আহ্বান জানান।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর আবির্ভাব এক অসাধারণ ও অবিস্মরণীয় ঘটনা। তার ক্ষমা, উদারতা, নারী জাতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন, যুদ্ধ কৌশল, শাসনব্যবস্থাসহ বিশ্বশান্তির যে মহান বাণী জগতে প্রচার করেছেন, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে যদি আমরা কর্মপন্থা নির্ধারণ করি তাহলে আমাদের মাতৃভূমি হয়ে উঠবে আরো শান্তিময়। বাংলাদেশে যে অসাম্প্রদায়িক সম্প্রতি রয়েছে তা আরও দৃঢ় হবে। প্রিয় নবীর খাঁটি উম্মত হয়ে তার প্রদর্শিত পথে চলার জন্য আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু। তিনি নবীর রেখে যাওয়া দিক নির্দেশনা অনুযায়ী ইসলামের পথে চলার জন্য মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া অনুষ্ঠানে হাক্কানী ওলামায়ে কেরামসহ ভক্ত ও আশেকানরা উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভা শেষে দুপুরে মহানগর নাট্যমঞ্চ থেকে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে একটি র্যা লি বের হয়। জিরোপয়েন্ট ঘুরে আবার নাট্যমঞ্চে এসে র্যা লি শেষ হয়।

এরপর বাদ জোহর দেশ-জাতির কল্যাণ ও বিশ্ব শান্তি কামনা করে মোনাজাত করেন সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক শাহ সুফি মাওলানা সৈয়দ সহিদ উদ্দিন আহমেদ মাইজভান্ডারী। এরপর তবারক বিতরণের মধ্য দিয়ে ঈদে মিলাদুন্নবীর এই অনুষ্ঠান শেষ হয়।