জামালপুরে জেন্ডার সহিংসতা প্রতিরোধে সরকারি, বেসরকারি প্রতিনিধিদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন

জামালপুরে জিবিভি বিষয়ক ওরিয়েন্টেশনে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়।ছবি:বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: নারী ও শিশুদের সর্বোত্তম সুরক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের যথাযথ ভূমিকা পালনের মাধ্যমে সহিংসতার শিকার ব্যক্তির ন্যায়সঙ্গত অধিকার প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষে ৩ অক্টোবর সরকারি, বেসরকারি প্রতিনিধিদের সাথে জামালপুরে দিনব্যাপী এক ওরিয়েন্টেশন কোর্স অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায়।

ইউএনএফপিএ এর অর্থায়নে উন্নয়ন সংঘ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘পজিটিভ চেঞ্জ ইন জেন্ডার নর্মস এন্ড হার্মফুল বিহ্যাবিয়ার ফর ইনক্লুসিভ এন্ড রেজিলেন্ট কমিউনিটস’ প্রোগ্রামের আওতায় অনুষ্ঠিত ওরিয়েন্টেশনে সভাপতিত্ব করেন উন্নয়ন সংঘের নির্বাহী পরিচালক মো. রফিকুল আলম মোল্লা। এতে মুখ্য আলোচক ছিলেন ইউএনএফপিএ এর ন্যাশনাল প্রোগ্রাম অফিসার আবু সাঈদ সুমন।

জামালপুরে জিবিভি বিষয়ক ওরিয়েন্টেশনে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন।ছবি:বাংলারচিঠিডটকম

উন্নয়ন সংঘের প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ডিটিআরসিতে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. জাকির হোসেন, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক রাজু আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনার সহকারী পরিচালক ডা. মো. আসাদুল ইসলাম, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুন্নাহার, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহনেওয়াজ প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম। ধারণা পত্র উপস্থাপন করেন উন্নয়ন সংঘের সহকারী পরিচালক কর্মসূচি মুর্শেদ ইকবাল ও কর্মসূচি ব্যবস্থাপক অপূর্ব চক্রবর্ত্তী।

সভায় জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় বলেন, সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের সুরক্ষায় সরকারের সবধরনের সেটআপ আছে। ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টার, পুলিশ প্রশাসনের স্থায়িত্বশীল উদ্যোগ, হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা, বিচারালয়ে প্রবেশাধিকারসহ সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রসমূহে ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নেওয়ার যথেষ্ট সুযোগ আছে। তিনি বলেন, জন প্রতিনিধি ও কমিউনিটির সাথে আপনাদের কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আপনারা জেলার বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে প্রোগ্রাম করেন।

সভাসূত্র জানায়, যারা সহিংসতার শিকার হয় তারা যেনো সহজেই সুরক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, লিগ্যাল এইডসেবাসহ অন্যান্য সুবিধাগুলো পায় সে ক্ষেত্রে রেফারেল সিস্টেমটা আরও শক্তিশালী করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরের ফোকাল পয়েন্ট নির্বাচন এবং তাদের জিবিভি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়।