মাদারগঞ্জে হাসপাতাল থেকে টেনে বের করে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

জাহিদুর রহমান উজ্জল, মাদারগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাদল (৬০) নামে এক ব্যাক্তিকে আহত অবস্থায় হাসপাতাল থেকে টেনে বের করে হত্যা করেছে একদল দুর্বৃত্ত। ২১ জুলাই সকালে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাদল উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের তারতাপাড়া সকাল বাজার এলাকার মৃত হজরত আলীর ছেলে সে কাঠ মিস্ত্রীর কাজ করতো। এ ঘটনায় আরও ৯ জন আহত হয়েছেন।

আহতরা হলেন, নিহত বাদলের বড়ভাই কাশেম মিস্ত্রি (৬৫), ছোট ভাই আইনাল হক (৫০), ছেলে রাশেদুল (২৫), রাসেল (৩০), রাজু (২৮), ভাতিজা আরাফাত (১৪), প্রথম স্ত্রী আসফুল, (৫৫) দ্বিতীয় স্ত্রী হাজরা (৫২) ও পুত্রবধূ সেলিনা (২৫)। আহত সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত বাদলের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম মেজরের। পূর্ব বিরোধের জেরে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে রফিকুল ইসলাম গং লাঠিসোঁটা-দেশীয় অস্ত্র নিয়ে বিরোধকৃত জমি দখল করতে আসেন। এ সময় বাদল ও পরিবারের সদস্যরা বাধা দিলে অভিযুক্তরা আঘাত করেন। এতে বাদল গুরুতর আহত হন। পরে স্বজনেরা উদ্ধার করে মাদারগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এ সময় তাঁরা হাসপাতাল থেকে টেনে বের কওে ওপর রফিকুল ইসলাম মেজরের আত্মীয়রা আরেক দফা হামলা চালান। এতে অবস্থা সংকটাপন্ন হলে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত বাদলের ছেলে রাশেদুল বলেন, ‘রফিকুল ইসলাম মেজরের সঙ্গে আমাদের বাড়ির জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আজ সকালে তাঁরা দলবল নিয়ে জমি দখল করতে আসলে আমরা বাধা দিলে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা এ ঘটনায় বিচার চাই।’

এ বিষয়ে মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাহবুবুল হক বলেন, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একজন বাদল নামের একজন নিহত হয়েছেন। এ খবর জানার পর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি জানান, রাত ১১.৩০ পর্যন্ত এজাহার দাখিল হয়নি।