জামালপুরে দাফনের এক বছর পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন

রনরামপুর পারাবারিক কবর থেকে শাহ্ জামালের মরদেহ উত্তোলন করে মর্গে নিয়ে যাওয়া হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুর সদর উপজেলার রনরামপুর দক্ষিণ পশ্মিমপাড়ায় দাফনের এক বছর পর কবর থেকে শাহ জামাল (৩৫) নামে এক কৃষকের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। ২৭ জুন দুপুরে আদালতের নির্দেশে নির্বাহী হাকিম এমাদুল হোসেনের উপস্থিতিতে এ মরদেহ উত্তোলন করা হয়।

মামলা এবং পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৯ জুলাই রনরামপুর গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে শাহজামাল (৩৫) ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। তার মাত্র ২৭ দিন আগে মৃত শাহজামালের সহোদর বোন সীমা আক্তার (২৮) একইভাবে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

সরেজিমন ঘুরে জানা যায়, মৃত শাহ জামালের স্ত্রী চামেলী বেগম (৩০) এর সাথে পরক্রিয়া সম্পর্ক ছিল মৃত সীমার স্বামী মোস্তাফিজুর রহমানের। শাহ জামাল আর তার বোন সীমার মৃত্যুর অল্প কিছুদিন পরেই অভিযুক্ত মোস্তাফিজুর এবং চামেলী বেগম বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সংসার শুরু করেন।

নিহত শাহ জামালের দুই কন্যা এবং নিহত সীমা আক্তারের এক ছেলে এক মেয়ে চরম অশান্তির মধ্যে পড়েছে বলে জানিয়েছে শাহ জামালের আত্মীয়স্বজনরা। ঘটনার প্রায় ১ বছর পরে এসে গত ১৬ জুন ২০২২ তারিখে জামালপুর সদর থানায় হত্যার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন নিহতের পিতা ইউসুফ আলী।

মামলার এজাহারে বিষাক্ত রাসায়নিক দ্রব্য অথবা কীটনাশক পান করিয়ে শাহ জামালকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। জামালপুর সদর থানার মামলা নং-৬০। ৩০২/৩৪ ধারার এই মামলা আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেয় সিআর আমলী আদালত জামালপুর।

মামলায় মোস্তাফিজুর রহমান, চামেলি বেগম এবং চামেলির পিতা-মাতা এবং চামেলির এক বোনসহ পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার দায়িতপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক মাসুদ শিকদার জানান, মামলা হওয়ার পর থেকে আসামীরা পলাতক আছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।