জনশুমারিতে আদিবাসীদের তথ্য সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি

জনশুমারি ও গৃহগণনায় সঠিক তথ্য অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর দেওয়া স্মারকলিপি গ্রহণ করেন বকশীগঞ্জের ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: ২০২২ সালের জনশুমারি ও গৃহগণনায় আদিবাসীদের তথ্য সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন সীমান্তবর্তী জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার গারো পাহাড়ের বিভিন্ন নৃতাত্তিক জনগোষ্ঠীর আদিবাসী নেতারা। ১৩ জুন দুপুরে বকশীগঞ্জের ইউএনও মুনমুন জাহান লিজার মাধ্যমে তারা এই স্মারকলিপি দেন।

স্মারকলিপিতে আদিবাসী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আসছে ১৫ জুন থেকে জনশুমারি ও গৃহগণনায় আদিবাসীদের জাতি ও গোষ্ঠীভেদে তথ্য সঠিকভাবে অন্তর্ভুক্তিসহ সাতদফা দাবি উল্লেখ করেছেন। অন্যান্য দাবিগুলো হলো- জনশুমারিতে আদিবাসীদের প্রতিটি খানা সরেজমিনে পরিদর্শন করে বসতবাড়ির ধরনসহ অন্যান্য বিবরণ উল্লেখ করে তথ্য সন্নিবেশ করতে হবে। একই গৃহে একাধিক খানা থাকলে তা আলাদা আলাদাভাবে তথ্য সংগ্রহ ও লিপিবদ্ধ করতে হবে। খানা প্রধান ও খানা সদস্যদের নাম, পদবি সরেজমিনে গিয়ে নির্ভুলভাবে লিখতে হবে। প্রয়োজনে তথ্য সংগ্রহের সময় প্রতিটি খানা জরিপে গ্রামের আদিবাসী নেতৃ-বৃন্দের সহযোগিতা নিতে হবে। আদিবাসীদের বসতি যত প্রত্যন্ত এলাকাতেই থাকুক না কেন সরেজমিনে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। এছাড়াও এই জনশুমারি ও গৃহগণনার তথ্য অনুযায়ী আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা।

ইউএনও মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার সময় অন্যান্যের মধ্যে বকশীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাসুমা ইয়াছমিন স্মৃতি, ইউনাইটেড কাউন্সিল অব আদিবাসী অর্গানাইজেসন্স অব গ্রেটার মাইমেনসিং এর বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি ও ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনন্ত ম্রং, সহ-সভাপতি ফতেমনি সাংমা, কারিতাসের জুনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার সুরঞ্জন রাকসাম, আদিবাসী নেতা ডামিয়েন চিরান, বিউটি ম্রং, ম্যাগডেলিনা ম্রং ও বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখা গারো ছাত্র সংগঠনের সভাপতি রাহুল রাকসাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।