ঢাকা মেট্রো রেল ব্যাংককের মতো আধুনিক হবে : থাই রাষ্ট্রদূত

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক ❑ বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর আজ ঢাকা মেট্রোরেল নির্মাণ কাজের অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেছেন, এটি ব্যাংককের মেট্রো রেলের মতো আধুনিক হবে।

রাজধানীর উত্তরায় মেট্রোরেল প্রকল্পের সাইট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ঢাকার মেট্রোরেলের মান ও সুযোগ-সুবিধা আমাদের (থাইল্যান্ডের) মান অনুযায়ী হবে।

থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধেকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী স্মরণে অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে রাষ্ট্রদূত সাইটটি পরিদর্শন করেন।

ইতালিয়ান-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি পিএলসি (আইটিডি) নামে একটি নেতৃস্থানীয় থাই নির্মাণ কোম্পানি বাংলাদেশের প্রথম মেট্রো রেলের একটি বড় অংশ নির্মাণ করছে।

সুমিতমোর বলেন, থাইল্যান্ড বাংলাদেশের সাথে অনেক অর্থনৈতিক সহযোগিতার প্রয়াসের সঙ্গে জড়িত এবং ঢাকা মেট্রো রেল অন্যতম প্রধান প্রকল্প। তিনি বলেন, মেট্রো রেল নাগরিক জীবনমান উন্নয়নের একটি কার্যকরী হাতিয়ার এবং ‘আমি কাজের মান দেখে মুগ্ধ।’

রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, মেট্রোরেল প্রকল্প দেশের জনগণকে বাংলাদেশের উন্নয়নে থাইল্যান্ডের সম্পৃক্ততা এবং অবদান সম্পর্কে আরও বেশি করে জানার জন্য সহায়ক হবে।

পরিদর্শনকালে প্রকল্প ব্যবস্থাপক বিরাট কান্ত নির্মাণ কাজের অগ্রগতি ব্যাখ্যা করেন।

এ বছরের শেষ নাগাদ উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত এবং আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়ার কথা রয়েছে।

ঢাকা ম্যাস র্যা পিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের (এমআরটি) লাইন-৬ দেশের প্রথম মেট্রো রেললাইন উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ১৯.৮৩ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি সিপি-০১ থেকে সিপি-০৮ পর্যন্ত ৮টি চুক্তিতে বিভক্ত।

পরিকল্পনা অনুযায়ী কমলাপুর রেলস্টেশনে লাইন-১-এর সাথে সংযোগের জন্য এমআরটি লাইন ৬ আরও ১.১৭ কিলোমিটার বাড়ানো হবে।

আইটিডিকে ২০১৭ সালে সিপি-০৩ এবং সিপি-০৪-এর কাজ দেওয়া হয়, যার মূল্য ৩৭ বিলিয়ন টাকা। এর মধ্যে ৯টি এলিভেটেড স্টেশন এবং উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ভায়াডাক্ট নির্মাণ অর্ন্তভুক্ত রয়েছে।

এছাড়া আইটিডি উত্তরা উত্তরে গুদাম ও ডিপো নির্মাণ এবং কারওরানবাজার থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৪টি এলিভেটেড স্টেশন এবং ভায়াডাক্ট নির্মাণের মতো মেট্রো রেলের অন্যান্য অংশে কাজ করার জন্য বিদেশি অংশীদারদের সাথে যৌথ উদ্যোগে প্রবেশ করেছে।

প্রকল্প কর্মকর্তারা জানান, নির্মাণ শুরু হওয়ার পর থেকে আইটিডি সামগ্রিকভাবে প্রায় ৬,০০০ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।

আইটিডি থাইল্যান্ডে এবং বিদেশে সুবর্ণভূমি বিমানবন্দর, খুলনার রূপসা সেতু, কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি সমন্বিত যাত্রী টার্মিনাল এবং পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় মহাসড়ক রুট এনএইচ-৩১সি-এর অংশ প্রশস্তকরণসহ অসংখ্য অবকাঠামো প্রকল্প নির্মাণে সম্পৃক্ত রয়েছে।

আইটিডি এছাড়াও মারিয়ালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষের সংস্কারে সহায়তা করেছে। এটি থাই রাজকুমারী মহা চক্রী সিরিন্ধর্নের পৃষ্ঠপোষকতায় শিশু ও যুব উন্নয়ন প্রকল্পে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের দুটি বিদ্যালয়ের মধ্যে একটি।