বশেফমুবিপ্রবিতে বিজয় দিবস উদযাপন, মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা

বশেফমুবিপ্রবিতে বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম : বিজয় শোভাযাত্রা-আলোচনা সভা এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনে জামালপুরের মেলান্দহে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) মহান বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর সূর্যোদয়ের ক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। পতাকা উত্তোলন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহেমদ।

এ সময় বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য, রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) খান মো. অলিয়ার রহমান, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর এসএমএ হুরাইরাসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষক-কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

সকাল ১০টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর উপাচার্যের নেতৃত্বে শহীদবেদীতে একাত্তরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে উপাচার্যের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়।

শোভাযাত্রা শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বঙ্গবন্ধুর ডাকে নিরস্ত্র বাঙালি পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। ত্রিশ লাখ শহীদ ও লাখ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত হয় বহুল কাঙ্ক্ষিত বিজয়। সেই বিজয় অর্জনের ৫০ বছর পেরিয়েছি আমরা। এই ৫০ বছরে বাংলাদেশ সামাজিক-অর্থনীতির সব সূচকে এগিয়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু যে যাত্রা শুরু করেছিলেন, এর পূর্ণতা পাচ্ছে তাঁরই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। উন্নত সমৃদ্ধ তথা সোনার বাঙলা প্রতিষ্ঠায় তিনি কাজ করে চলেছেন। আমাদের সবার উচিত- লক্ষ্যপূরণে তাঁকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা। তবেই ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বদরবারে উন্নত সমৃদ্ধ দেশের কাতারে উন্নীত হবে। সুবর্ণজয়ন্তীতে দেশপ্রেমে উজ্জ্বীবিত হয়ে দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হতে সবার প্রতি আহ্বান জানান উপাচার্য।

বিজয় দিবস উদযাপনে দিনব্যাপী শিক্ষক ও কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, পুরস্কার বিতরণী, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক শপথ অনুষ্ঠানে যোগদান, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং আতশবাজি।