জামালপুরে কোন যুবক বেকার থাকবে না : যুব উন্নয়নের কর্মশালায় জেলা প্রশাসক

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বাস্তবতায় ও উপযোগিতা বিবেচনা করে প্রকল্প গ্রহণ করা এবং সে অনুযায়ী প্রশিক্ষণ নির্ধারণ করে যুব সমাজকে ট্রেড ভিত্তিক প্রশিক্ষণ কোর্সে নিয়ে আসতে হবে। দক্ষ যুব শক্তি গড়ে তুলতে পারলে উন্নত পরিবার এবং কর্মময় জীবন গঠনের সহায়ক ভূমিকা রাখবে। প্রতিটি প্রশিক্ষণের শেষে এর ফলোআপ রাখতে হবে। যুবকরা প্রশিক্ষণ শেষে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পেরেছে কিনা তা বুঝা যাবে। আমরা আশা করি জামালপুরে আর একটা যুবকও বেকার থাকবে না। ১৪ অক্টোবর জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি ফর নিউ প্রজেক্টস অব ডিওয়াইডি’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় প্রস্তাবিত ৬টি প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাই বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান।

জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোকলেছুর রহমান। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল বাছেত, সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ র. ই. শামীম, জেলা মৎস কর্মকর্তা ড. কায়সার মোহাম্মদ মঈনুল হাসান, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মেলান্দহ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মাহফুজুল হক। কর্মশালায় উদ্যোক্তা এবং সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৫৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

দিনব্যাপী কর্মশালায় ৬টি বিষয়ের ওপর দলীয় আলোচনার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ওঠে আসে। বিষয়গুলো হলো- যুবদের জন্য গ্রামে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র হ্রাসকরণ, যুবদের কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর, কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে উপজেলা পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারকরণ, উপজেলা যুব প্রশিক্ষণ বিনোদনকেন্দ্র নির্মাণ করা, যুব উদ্যোক্তা তৈরির জন্য যুবদের সক্ষমতা বৃদ্ধি প্রশিক্ষণ, অনলাইন ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে প্রশিক্ষণ প্রদান।

জানা যায়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর প্রতিবছরে প্রায় ৩ লাখ যুবকের বিভিন্ন ট্রেডের দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রদান করবে। প্রশিক্ষণ শেষে সহজ শর্তে ঋণের মাধ্যমে যুবরা কারুপণ্য, কৃষি, মৎস ও পশুপালন, খামার প্রতিষ্ঠানসহ নানাভাবে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হবে। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের চলমান প্রশিক্ষণকে কীভাবে আরও মানবসম্মত ও যুগোপযোগী করা যায়, সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ ট্রেডসমূহ কী কী হতে পারে, প্রশিক্ষণ সরঞ্জামাদি ও প্রশিক্ষণ অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধাদি কীভাবে বৃদ্ধি করা যেতে পারে, ব্যবহারিক ক্লাসের সুযোগ সুবিধা কীভাবে বৃদ্ধি করা যেতে পারে ইত্যাদি বিষয়ে কর্মশালায় সুপারিশ প্রদান হয়। এছাড়া প্রশিক্ষণ কৌশল, প্রশিক্ষণ বিষয়বস্তু, প্রশিক্ষণ মডিউল, প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা আত্মকর্মী হতে মূল সমস্যাগুলো চিহ্নিতকরণ এবং গুণগত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সুপারিশ প্রণনয়নও কর্মশালার উদ্দেশ্য।