শেরপুরে পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে কঙ্কালসার নারী উদ্ধার

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের নকলায় একটি পরিত্যাক্ত বাড়ি থেকে অজ্ঞাত পরিচয়, কঙ্কালসার ও মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার বয়স অনুমানিক ৫০ বছর। ৫ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় উপজেলা শহরের জোড়া ব্রিজের কাছে আল জামিয়াতুল মাদানিয়া কওমি মাদরাসার সামনের মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানীর দু’তলা ফাঁকা বাড়ি থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়।

৬ সেপ্টেম্বর সকালে এ খবর লেখার সময় পর্যন্ত ওই নারীর পরিচয় সংশ্লিষ্ট আর কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।

একাধিক সূত্র জানায়, ৫ সেপ্টেম্বর রাতে আশেপাশের লোকজন ফাঁকা বাড়িতে জীবিত কোন কিছুর উপস্থিতি টের পেয়ে বিষয়টি স্থানীয় কমিশনার ফরিদ আহাম্মেদ লালনকে জানানো হয়। পরে নকলা থানার উপ-পরিদর্শক চন্দন পাল ও পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দরজা ভেঙে কঙ্কালসার ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে উদ্ধার করে। এ সময় উৎসুক মানুষের ভীড় জমে যায়।

উদ্ধারকালীন সময়ে ওই নারীর দেহ থেকে উৎকট গন্ধ ছড়াচ্ছিল এবং তিনি বিবস্ত্র অবস্থায় ছিলেন। বাড়ির মালিক গোলাম রব্বানী মারা যাওয়ার পর বাড়িটি ফাঁকা অবস্থায় পড়ে ছিল। আর কত দিন যাবত ওই বাড়িতে অজ্ঞাত পরিচয় নারী অবস্থান করছিলেন তা কেউ জানাতে পারেনি।

পরে ওই নারীকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় মানবিক সেবিকা হিসাবে খ্যাত হাসি বেগম তার পাশে দাঁড়ান। বিবস্ত্র ও মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে তার বাসা থেকে কাপড় এনে পরিয়ে দেন। নিজের রান্না করা খাবার পরম মমতায় তার মুখে তুলে দেন। অল্প সময়ের সেবা যতেœ কঙ্কালসার ওই নারীর মুখে ফুটে ওঠে প্রশান্তির হাসি।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টেকনোলজিস্ট আবু কাউছার বিদ্যুৎ বলেন, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা সাহেবের নির্দেশে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. এ কে এম নাজমুস সাকিব ও নার্সিং ইনচার্জ হাসি আক্তার ওই নারীর চিকিৎসা শুরু করেন।

আবু কাউছার বলেন, উদ্ধার হওয়ার সময় মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী বস্ত্রহীন অবস্থায় ছিল। এ সময় তার দেহ ধুলো বালিতে মাখানো ছিল। সেই সাথে তার শরীর ছিল খুব দুর্বল ও উৎকট গন্ধযুক্ত। এ কারণে তার কাছে যাওয়ার খুব কঠিন ছিল। বর্তমানে সে ভালো আছে।