যমুনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে শুশুক

মাদারগঞ্জের যমুনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়া শুশুক। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জাহিদুর রহমান উজ্জল, মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের মাদারগঞ্জের যমুনা নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে বিরল জাতের শুশুক। ২১ আগস্ট সকালে যমুনা নদীতে নিয়মিত মাছ ধরতে যাওয়া প্রদীপ আরকাটির জালে ধরা পড়ে প্রায় ১৫ কেজি ওজনের একটি বিরল জাতের শুশুক। ধুসর রঙ্গ এর এই শুশুকটি দেখতে ভীড় করে এলাকবাসী। অনেকে এই শুশুকের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

যমুনা নদীর মাছ ব্যবসায়ী সুবাহান মিয়া জানান, শুশুকটিকে আরকাটির পেশাদার মাছ শিকারীর লোকজন এটাকে হত্যা করে এর তেল তৈরি করে। যা তারা দিয়ে অন্যান্য মাছ শিকার করে থাকে।

যমুনা নদীর নিয়মিত মাছ শিকারীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যমুনা নদীতে কয়েক যোগ আগেও শত শত শুশুকদের দেখা পাওয়া যেত। খরস্্েরাতা নদীতে “ডুব সাঁতার” খেলতো। কিন্তু কিছু দিন ধরে এদের সংখ্যা কমে গেছে। তবুও মাঝে মাঝে যমুনার গভীর জলে কয়েকটি শুশুক দেখা যায়। তারা জানান, মাছ শিকারীদের একটি দল যারা স্থানীয়ভাবে আনকাটি নামে পরিচিত তারা বড় বড় পাগলা বড়শি ও বিশেষ জালে শুশুক শিকার করে থাকে। এবং সেটাকে হত্যা করে বিশেষ তেল তৈরি করে, এই তেল দিয়ে বাঁচা ও ঘাড়িয়া মাছ শিকার করে। তাদের হাতেও প্রতিবছর অনেক শুশুক নিধন হয়।

শুশুক সম্পর্কে জানা যায়, একটি স্তন্যপায়ী জলজ প্রাণি। বাংলাদেশে এটা বিপন্ন হিসাবে পরিচিত। দেশে ২ ধরনের শুশুক পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে জামালপুরের পরিবেশৎকর্মী জাহাঙ্গীর সেলিম বলেন, শুশুক দেশের জলজ প্রাণির অন্যতম। এটা বিপন্ন তালিকায় এক নম্বরে। তাই পবিবেশ এবং জলবায়ুর ভারসাম্য রক্ষায় এটাকে টিকিয়ে রাখতে হবে। কোন ক্রমেই এটা শিকার বা হত্যা কার যাবে না। এটা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ। যারা এই কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে মামলা হতে পারে। যমুনা নদীতে গত দশকে যে পরিমাণ শুশুক দেখা মিলতো এখন তা প্রায় বিপন্ন। একশ্রেণির লোভী মৎস্য শিকারীদের হাতে প্রতিবছর অনেক শুশুক শিকার ও হত্যা হয়। তাই এ ব্যাপারে প্রশাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি দাবি জানান।