দেওয়ানগঞ্জে যমুনার ভাঙ্গনে বিলীন বসতবাড়ি, শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান

উপজেলার বড়খাল এলাকা থেকে ছবিটি নেওয়া হয়েছে। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বিল্লাল হোসেন মন্ডল, দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে যমুনার তীব্র ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। যমুনার তীব্র ভাঙ্গন ভয়াবহ আকার ধারণ করায় হারিয়ে যাচ্ছে চুকাইবাড়ী ও চিকাজানি দুটি ইউনিয়নের মানচিত্র।

উপজেলার চিকাজানী ইউনিয়নে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি ও হ্রাস পাওয়ায় ভাঙনে কয়েক বছরে চিকাজানী খোলাবাড়ীর হাট, খোলাবাড়ী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর মাগুরীহাট, দেলোয়ার হোসেন ইবতেদায়ি মাদরাসা, মসজিদ কবরস্থানসহ আশপাশ এলাকার বাড়িঘর ও স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকীর মুখে রয়েছে খোলাবাড়ী ও মন্ডল বাজারের ব্যস্ততম একমাত্র সড়ক।

চুকাইবাড়ী বড়খাল গুলুঘাট হয়ে পূর্ব চুনিয়াপাড়া পর্যন্ত দেওয়ানগঞ্জ রক্ষা বাঁধ নামে হরিণধরা একটি বাঁধ ছিল। বাঁধটি ভাঙনের পর থেকে বিনা বাধায় যমুনা নদী লোকালয়ে ঢুকছে।

২ বছর ধরে নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু খেকোরা বেপরোয়াভাবে বালু উত্তোলন করায় নদীর ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

দেলোয়ার হোসেনের স্থাপিত দেলোয়ার হোসেন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রশিদ জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী রয়েছে। ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয় করে তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। জুন মাসে ভবন বুঝে নিয়েছি। করোনার কারণে এখনও ক্লাস শুরু হয়নি।

একই চত্বরে হলকার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৭৭ লাখ টাকা ব্যয়ে দু’তলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিলুফা আক্তার শিখা জানান, করোনার কারণে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়নি, স্কুল বুঝে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় থেকে যমুনা ভাঙন মাত্র ৮০ থেকে ৯০ ফুট দূরে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সোলায়মান হোসেন বলেন, ২ বছর ধরে যমুনা ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্গন রোধ করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজও করে যাচ্ছেন। এবার যে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে তা সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ এমপি মহোদ্বয়কে অবগত করে এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।