বকশীগঞ্জে করোনার বিস্তার বাড়ছে, আতঙ্ক বাড়ছে মানুষের মধ্যে!

বকশীগঞ্জে লকডাউন কার্যকর করতে পুলিশের টহল। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জে চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। একারণে এই উপজেলায় করোনার সংক্রমণ দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে ৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন সাবেক এক স্বাস্থ্যকর্মী। বিশেষ করে ভারতের সীমান্তবর্তী ধানুয়া কামালপুর ও বগারচর ইউনিয়নে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে ভারতের সীমান্তবর্তী জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসের বিস্তার হতে শুরু করেছে। প্রতিদিনই এই উপজেলায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্যকর্মী, কর্মকর্তা, পল্লী বিদ্যুত সমিতির কর্মচারী সহ সাধারণ মানুষও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ৩ জুলাই করোনার পরীক্ষায় ২১ জন আক্রান্ত হয়েছে এই উপজেলায়। এর মধ্যে বকশীগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির এজিএমসহ ১১ জন কর্মকর্তা কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে আরও ৩ কর্মচারী আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এছাড়াও একই দিনে আক্রান্ত হয়ে মারা যান হাবিবা বেগম (৬৫) নামে সাবেক এক স্বাস্থ্যকর্মী।

উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের ধারণা, মানুষ এখনো সচেতন না হওয়ায় তারা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনা পরিস্থিতি হঠাৎ অবনতি হওয়ায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে স্থানীয় সচেতন মানুষের মধ্যে। যদিও স্থানীয় প্রশাসন ও বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ করোনার সংক্রমণ রোধে সচেতনতা কার্যক্রম, মাস্ক বিতরণ, জেল, জরিমানা করছেন তবুুও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে করোনা সংক্রমণ।

এদিকে কঠোর লকডাউনের মধ্যেও কিছু মানুষ নানা অজুহাতে শহরে প্রবেশ করছেন। স্থানীয় পুুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা দিন রাত পরিশ্রম করছেন লকডাউন কার্যকর করার জন্য।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রতাপ নন্দী জানান, মানুষের মধ্যে এখনো অসচেতনতা কাজ করছে। তারা একটু সচেতন হলেই করোনা সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব। যারা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে এবং আমাদের লোকজন প্রতিনিয়ত তাদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ প্রদান করেন।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাট জানান, পুলিশের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে লকডাউন কার্যকরে তারা মাঠে কাজ করছেন। এ প্রান্ত থেকে ওই প্রান্তে ছুটাছুটি করে আমরা মানুষকে ঘরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছি এবং সবাইকে মাস্ক ব্যবহারের ওপর জোর দিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা জানান, করোনা পরিস্থিতি যে হারে বাড়ছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন, আমরা চেষ্টা করছি লকডাউন কার্যকরের মাধ্যমে বকশীগঞ্জবাসীকে ভাল রাখার। এজন্য বকশীগঞ্জবাসীকেও প্রশাসনকে সহযোগিতার মনোভাব থাকতে হবে।