বকশীগঞ্জে কঠোর লকডাউনের প্রথম দিনে প্রশাসনের কড়াকড়ি!

বকশীগঞ্জে কঠোর লকডাউনের প্রথমদিনে প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তারা মাঠে নামেন এবং যান চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ কড়াকড়ি করেন। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় করোনার ভয়াবহতা ও বিস্তার রোধে সরকারের নির্দেশনা বাস্তবায়নে লকডাউনের প্রথম দিনে ব্যাপক কড়াকড়ি করেন উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন।

১ জুলাই সকাল থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্নিগ্ধা দাসের নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসন এবং বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম সম্রাটের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যদের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিতে দেখা যায়। এ সময় পুলিশ চেকপোষ্ট বসিয়ে ছোট ছোট যানবাহন চলাচলে নিয়ন্ত্রণ করেন। কেউ রাস্তায় অযথা বের হলেই নানা জবাবদিহির আওতায় আনা হয় পথচারীদের।

বকশীগঞ্জে কঠোর লকডাউনের প্রথমদিনে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে মাঠে নামেন পুলিশ সদস্যরা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

বকশীগঞ্জ ইউএনও মুন মুন জাহান লিজা বিজিবি-পুলিশের একটি টহল দল নিয়ে পৌর শহর সহ বিভিন্ন হাট বাজার ও প্রধান প্রধান সড়কে অবস্থান নেন। শহরের নিত্যপণ্যের দোকান ছাড়া বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ ছিল। যাদের মুখে মাস্ক ছিল না তাদেরকে মাস্ক বিতরণ করেন ইউএনও। একই সাথে অযথা ঘুরাঘুরি করা, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় চারজনকে অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

পাশাপাশি সরকারের বিধিনিষেধ কার্যকর করতে প্রশাসনের পাশাপাশি বকশীগঞ্জ পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম সওদাগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম বিজয়, সহসভাপতি নুরুল আমিন ফোরকান, আওয়ামী লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন সাকা প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে মাঠে নামেন। তারা সাধারণ মানুষকে কারণ ছাড়া ঘর হতে বের না হতে নিরুৎসাহিত করেন।

লকডাউনের প্রথম দিনে শহরে কিছু সংখ্যক রিকশা, অটোরিকশা ছাড়া বড় ধরনের কোন যান চলাচল করতে দেখা যায় নি। তবে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে লোকজন ঘর থেকে বের হলেও প্রশাসনের সামনে উপযুক্ত কারণ দশাতে হয়েছে পথচারীদের।