ইসলামপুরে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর দর্শনে পথচলা শীর্ষক আলোচনা

সভায় বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪০তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে ১৭ মে রাত ৮টায় দলীয় কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর দর্শনে শেখ হাসিনার পথচলা শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফরিদুল হক খান এমপি।

এ সময় তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নরঘাতকরা ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। এ সময় বিদেশে থাকায় বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভুলুণ্ঠিত করে বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে নানামুখী ষড়যন্ত্রে বাঙালি জাতির জীবনে চেপে বসে ঘোর অমানিশার অন্ধকার।

এমনি ক্রান্তিলগ্নে ১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাকে সংগঠনের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। দীর্ঘ ছয় বছর নির্বাসন শেষে সামরিক শাসকের রক্তচক্ষু ও নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ১৯৮১ সালের ১৭ মে প্রিয় স্বদেশ ভূমিতে প্রত্যাবর্তন করেন শেখ হাসিনা।

তিনি আরও জানান, ১৯৮১ সালের ১৭ মে ঝড়-বাদল আর জনতার অবগাহন করে শেরে বাংলা নগরে লাখ লাখ জনতার সংবর্ধনার জবাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির পিতার হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’

সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মজিবর রহমান শাহজাহানের সভাপতিত্বে সহসভাপতি আবু নাছের চৌধুরী চার্লেস, যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইনজীবী জামাল আব্দুন নাছের বাবুল, মাকছুদুর রহমান আনছারী, সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর মেয়র আব্দুল কাদের শেখ, ক্রীড়া সম্পাদক খলিলুর রহমান, কৃষকলীগ সভাপতি তাছির উদ্দিন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভা সঞ্চালনা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

সভায় এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

শেষে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।