সরিষাবাড়ীতে পৃথক দুই মণ্ডপে হামলা, প্রতিমা ভাঙচুর, আটক ১

সরিষাবাড়ী পৌরসভার ইস্পাহানী সরস্বতী মণ্ডপে হামলায় তছনছ পূজা মঞ্চ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় সরস্বতী পূজা চলাকালে পৃথক দুই মণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটেছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি রাতে সরিষাবাড়ী থানার সন্নিকটে পৌরসভার ইস্পাহানি আবাসিক এলাকা ও ডোয়াইল ইউনিয়নের হাটবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ইস্পাহানির ঘটনায় অভিযুক্ত একজনকে আটক করেছে পুলিশ।

ইস্পাহানি পূজা কমিটির সভাপতি সুকুমার ঘোষ বলেন, ‘১৬ ফেব্রুয়ারি ইস্পাহানি আবাসিক এলাকায় সরস্বতী পূজার আয়োজন করা হয়। রাত সাড়ে ৯টায় পূজা মণ্ডপে ভক্তরা পূজা-অর্চনা করাকালে বাসস্ট্যাণ্ড এলাকা থেকে ফারুক ড্রাইভার ও নান্টু ড্রাইভারের নেতৃত্বে ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ নেশা করে এসে লাঠিসোঠা নিয়ে মণ্ডপে হামলা চালায়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হন। খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়। তারা আমাদের পূজা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে দুই শতাধিক সংখ্যালঘু বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানা রোড ও বাসস্ট্যাণ্ড এলাকা প্রদক্ষিণ করে।’

অপরদিকে একই রাত ১০টার দিকে কমিটির বিরোধ নিয়ে উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের হাটবাড়ি মাঝিপাড়া সরস্বতী মণ্ডপে হামলার ঘটনা ঘটে। পরে দ্বিতীয়বার হামলাকারীরা মধ্যরাত ১টার দিকে সরস্বতী প্রতিমা ভাঙচুর করে।

সরিষাবাড়ী উপজেলার হাটবাড়ি সরস্বতী মণ্ডপে হামলায় ভাঙচুরকৃত প্রতিমা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মণ্ডপ কমিটির সভাপতি মঙ্গল চন্দ্র বর্মন অভিযোগ করেন, হাটবাড়ি গ্রামের পঞ্চম চন্দ্র বর্মনের ছেলে কমল চন্দ্র বর্মন দীর্ঘদিন স্থানীয় মন্দির কমিটির সভাপতি থাকাকালে তার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠে। কমিটির লোকজন কিছুদিন আগে তাকে সভাপতি থেকে বাদ দিলে তিনি ক্ষিপ্ত হন। এ ঘটনার জের ধরে সে লোকজন নিয়ে প্রথমে মণ্ডপে হামলা ও মধ্যরাতে প্রতিমা ভাঙচুর করেন বলে তিনি জানান।

এব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মো. ফজলুল করীম এ প্রতিবেদককে জানান, ইস্পাহানীর ঘটনায় ফারুক নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা হলে ব্যবস্থা নেব। হাটবাড়ির ঘটনাটি মন্দির কমিটির নিজেদের মধ্যে বিরোধের জের। নিজেদের প্রতিমা নিজেরা ভাঙচুর করলে কার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব!