মুজিববর্ষের উপহার জমি ও ঘর পেল জামালপুরের ১৪৭৮টি গৃহহীন পরিবার

টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্ঠানে মুজিববর্ষের উপহার গৃহহীনদের ঘর ও জমি প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনী ঘোষণার পরপরই ২৩ জানুয়ারি দুপুরে জামালপুর জেলার সাতটি উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভূমিহীন ও গৃহহীন এক হাজার ৪৭৮টি পরিবারের হাতে মুজিববর্ষের উপহার জমি ও আধাপাকা ঘরের মালিকানার দলিলপত্র হস্তান্তর করেছে জেলা প্রশাসন।

মুজিববর্ষে দেশে কেউ গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই নির্দেশনা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন-২ প্রকল্প হতে জামালপুর জেলার সাতটি উপজেলায় প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ‘ক’ শ্রেণির গৃহহীন ও ভূমিহীন এক হাজার ৪৭৮টি পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য এক হাজার ৪৭৮টি আধাপাকা ঘর নির্মাণ করা হয়। এতে প্রকল্প থেকে ঘর নির্মাণের জন্য বরাদ্দ পাওয়া যায় ২৫ কোটি ২৭ লাখ ৩৮ হাজার টাকা এবং ঘর নির্মাণ সামগ্রী পরিবহনের জন্য প্রতিটি ঘরের জন্য আরো চার হাজার টাকা করে বরাদ্দ আসে। এই হিসাবে প্রতিটি ঘরের জন্য ব্যয় হয় এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা করে।

জামালপুর সদরের ভূমিহীন ও গৃহহীন ৪০০টি পরিবারের হাতে জমি ও নতুন ঘরের মালিকানার দলিলপত্র হস্তান্তর করেন প্রকৌশলী মোজাফফর হোসেন এমপি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

২৩ জানুয়ারি সকালে জমি ও আধাপাকা ঘর প্রদানের জন্য জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার মোজাফফর হোসেন মিলনায়তনে সরাসরি টিভিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী ঘোষণা সম্প্রচারের পরপরই জামালপুর সদর উপজেলার ৪০০ গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও ঘরের মালিকানার দলিলপত্র হস্তান্তর করেন সদরের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন ও সদরের ইউএনও ফরিদা ইয়াছমিন। এ সময় সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ ড. মুজাহিদ বিল্লাহ ফারুকী, সদরের এসিল্যান্ড মাহমুদা বেগম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজায়েত আলী ফকির, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগনেতা ও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

একই সময়ে জেলার মেলান্দহ উপজেলায় ২৬০টি, ইসলামপুরে ৮৮টি, মাদারগঞ্জে ১২১টি, বকশীগঞ্জে ১৪২টি, সরিষাবাড়ীতে ২৯৫টি ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় ১৭২টি পরিবারের মাঝে তাদের জমি ও ঘরের মালিকানার দলিলপত্র হস্তান্তর করা হয়েছে।