দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭৩৮ জন

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ২২৩তম দিনে এই ভাইরাস থেকে সুস্থ মানুষের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৭৩৮ জন। এরমধ্যে গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতাল এবং বাসায় মিলিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ৫০৯ জন। আজ শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৭৭ দশমিক ৮১ শতাংশ। আগের দিনের চেয়ে আজ সুস্থতার হার শূন্য দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ বেশি।

১৬ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদফতরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক চিকিৎসক নাসিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ১৩ হাজার ৫৭৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১ হাজার ৫২৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকালের চেয়ে আজ ৭৩ জন কম শনাক্ত হয়েছে। গতকাল ১৪ হাজার ১০৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হয়েছিলেন ১ হাজার ৬০০ জন। গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ২৫ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ১১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গতকালের চেয়ে আজ শনাক্তের হার শূন্য দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ কম।

দেশে এ পর্যন্ত মোট ২১ লাখ ৪০ হাজার ১২৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮৬ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৮ দশমিক শূণ্য ৪ শতাংশ। গতকাল পর্যন্ত এই হার ছিল ১৮ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গতকালও ১৫ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এখন পর্যন্ত দেশে এ ভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছেন ৫ হাজার ৬২৩ জন। করোনা শনাক্তের বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৬ শতাংশ। গত ৭ অক্টোবর থেকে মৃত্যুর একই হার বিদ্যমান রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ‘করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘন্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ১৩ হাজার ৭৮৪ জনের। আগের দিন সংগ্রহ করা হয়েছিল ১৪ হাজার ২৬১ জনের। গতকালের চেয়ে ৪৭৭টি নমুনা কম সংগ্রহ করা হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ১০৯টি পরীক্ষাগারে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১৩ হাজার ৫৭৭ জনের। আগের দিন নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল ১৪ হাজার ১০৪ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় আগের দিনের চেয়ে ৫২৭টি কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত শনাক্ত ২২৬৭ দশমিক শূন্য ১ জন। সুস্থ হয়েছেন প্রতি ১০ লাখে এ পর্যন্ত ১৭৬৫ জন এবং প্রতি ৮৬ লাখে মারা গেছেন এ পর্যন্ত ৩৩ দশমিক শূন্য ২ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, ২৪ ঘণ্টায মৃত্যুবরণকারী ১৫ জনের মধ্যে পুরুষ ১৩ জন, আর নারী ২ জন। এ পর্যন্ত পুরুষ মৃত্যুবরণ করেছেন ৪ হাজার ৩২৭ জন, আর নারী মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ২৯৬ জন। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৭৬ দশমিক ৯৫ শতাংশ; নারী ২৩ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় ১৫ জনই হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেছেন ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের বছরের ৪ জন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ১০ জন। এখন পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, শূন্য থেকে ১০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ২৭ জন; যা শূন্য দশমিক ৪৮ শতংশ। ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৪৫ জন; যা শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ। ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১২৬ জন; যা ২ দশমিক ২৪ শতাংশ। ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৩১৫ জন; যা ৫ দশমিক ৬০ শতাংশ; ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ৭০৮ জন; যা ১২ দশমিক ৬৯ শতাংশ। ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে রয়েছেন ১ হাজার ৫০১ জন; যা ২৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ এবং ৬০ বছরের বেশি বয়সের রয়েছেন ২ হাজার ৯০১ জন; যা ৫১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।

মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ১২ জন, চট্টগ্রাম, খুলনা এবং রংপুর বিভাগে ১ জন করে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণকারীদের বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে ঢাকা বিভাগে মারা গেছেন ২ হাজার ৮৭৫ জন; যা ৫১ দশমিক ১৩ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ১ হাজার ১২৯ জন; যা ২০ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। রাজশাহী বিভাগে ৩৬০ জন; যা ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। খুলনা বিভাগে ৪৫৪ জন; যা ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। বরিশাল বিভাগে ১৯৩ জন; যা ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ। সিলেট বিভাগে ২৩৯ জন; যা ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। রংপুর বিভাগে ২৫৫ জন; যা ৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১১৮ জন; যা ২ দশমিক ১০ শতাংশ।