সরিষাবাড়ীর শিশুটিকে গলাটিপে হত্যার পর ডোবায় ফেলেছিল সৎমা

পুলিশের হাতে আটক রিনা বেগম। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া (ভূইয়াবাড়ী) গ্রামের কণা আক্তার নামের সাড়ে তিন বছরের মেয়ে শিশুটি একা একাই পানিতে পড়ে মারা যায়নি। ১২ জুন রাতে শিশুটির সৎমা রিনা বেগমকে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ আটক করার পর শিশুটির মৃত্যু নিয়ে বেরিয়ে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আটক রিনা নিজেই শিশুটিকে গলা টিপে হত্যা করে বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দিয়েছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।

জানা যায়, উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের মাজালিয়া গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে কণা আক্তার ১০ জুন রাতে পানিতে পড়ে মারা যায় এই মর্মে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়। পানিতে পড়ে শিশুটির মারা যাওয়া নিয়ে ওই এলাকায় জনসাধারণের মধ্যে শিশুটির সৎমা রিনা বেগমকে নিয়ে সন্দেহ হতে থাকে। এলাকাবাসী পুলিশের হেল্প লাইন ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ রিনা বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে শিশুটির বাবা আবুল কালাম বাদী হয়ে স্ত্রী রিনা বেগমকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৩ জুন দুপুরে রিনা বেগমকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

মামলার বাদী শিশুটির বাবা আবুল কালাম জানান, প্রথম স্ত্রী একটি কন্যা সন্তান রেখে মারা যাওয়ার পর দেড় বছর আগে রিনাকে বিয়ে করি। বিয়ের পর থেকেই সন্তান নেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে স্ত্রী রিনা বেগম। এ নিয়ে প্রায় সময় কথা কাটাকাটি হতো। প্রথম স্ত্রীর মেয়ে শিশুটি একটু বড় হলে সন্তান নিবো এসব বলাতে রাগে ক্ষোভে ১০ জুন সন্ধ্যায় শিশুটিকে গলাটিপে হত্যা করে পানিতে ফেলে দেয় স্ত্রী রিনা বেগম।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু মো. ফজলুল করীম এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শিশু কণা আক্তারকে সৎমা রিনা বেগম গলাটিপে হত্যা করে ডোবার পানিতে ফেলে দেয় কথাটি পুলিশের কাছে স্বীকার করেন। পরে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ১২ জুন রাতে স্ত্রী রিনা বেগমকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ১৩ জুন দুপুরে শিশুটির সৎমা রিনা বেগমকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।