করোনাভাইরাস মোকাবেলায় জামালপুরের জেলা প্রশাসকের গণ-আদেশ জারি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গণ-আদেশ বিজ্ঞপ্তি জারি করে জেলার সর্বস্তরের মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। ২৪ মার্চ তিনি এ গণ-আদেশ বিজ্ঞপ্তি জারি করেন।

জেলা প্রশাসকের জারি করা ওই গণ-আদেশ বিজ্ঞপ্তিতে নোভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় জনসমাগম পরিহার করার লক্ষ্যে ছয়টি আদেশ পালন করতে অনুরোধ করা হয়েছে। জনস্বার্থে অবিলম্বে এসব আদেশ কার্যকর হবে বলেও ওই গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

নির্দেশগুলো হলো-

১. সাপ্তাহিক সকল হাট, পশু হাট, আবাসিক হোটেল, শপিংমল, বাণিজ্য কেন্দ্র, রেস্টুরেন্ট, বিনোদন কেন্দ্র, পার্ক, মেলা, সামাজিক অনুষ্ঠান, ধর্মীয় সমাবেশ, সিনেমা হল, ভ্রাম্যমাণ ফাস্ট ফুড, স্ট্রীট ফুড, সেলুন ও চা এর দোকানের আড্ডাসহ জনসমাগক হয় এমন সকল কিছু পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

২. খাদ্যসামগ্রী, ওষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির সকল দোকানপাট (মাছ-মাংসের দোকানসহ), কাঁচাবাজার, কৃষি সার বীজ-কীটনাশকের দোকান ও চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান যথারীতি খোলা থাকবে; তবে এ সকল স্থানে নিরাপদ দূরত্ব (১ মিটার) বজায় রাখতে হবে।

৩. জেলা/উপজেলা পর্যায়ের খাদ্যদ্রব্যের পাইকারী বাজার/মার্কেট জনসাধারণের কেনাকাটার সুবিধার্থে সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

৪. বিদেশ থেকে আগত সকল প্রবাসীকে আবশ্যিকভাবে নির্ধারিত ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন মেনে চলতে হবে এবং করোনাভাইরাস সংক্রমণের কোন উপসর্গ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র/উপজেলা নির্বাহী অফিসার/থানার অফিসার ইনচার্জ এর সাথে যোগাযোগ করতে হবে। সংক্রমণ ব্যাধির বিস্তার ঘটায় এমন কার্য করলে নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৫. পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সিএনজি, অটোরিকশা, লেগুনা ও লোকাল বাসহ সকল গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। তবে জরুরী পণ্য পরিবহন চালু থাকবে।

৬. সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে এগিয়ে আসুন।