লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর
বাংলারচিঠিডটকম
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি হওয়ার ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে উপজেলার বেলগাছা, সাপধরী ও ইসলামপুর সদর ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে নদী ভাঙ্গনের ফলে বিদ্যালয়, দোকানপাট ও ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছে অনেক পরিবার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, যমুনা নদী তীব্র স্রোতে বেলগাছা ইউনিয়নের মন্নিয়া ও বরুলের প্রায় শতাধিক বাড়িঘর নদীরগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতি গ্রামের শতাধিক বাড়িঘর নদীর গর্ভে বিলীন হয়েছে। ওই ইউনিয়নের কাশারীডুবা প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনটি যেকোন মুহুর্তে নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। অন্যদিকে যমুনার শাখা নদী আলাই খালের তীব্র স্রোতে নদী ভাঙ্গনের ফলে পচাবহলা জয়তন নেছা উচ্চ বিদ্যালয় তৃতীয় তলা ভবনটি নিচ থেকে মাটি সরে গিয়ে হুকমির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে। যে কোনো মুহূর্তে সরকারের তিনতলা বিশিষ্ট ভবনটি নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে। এছাড়াও বিদ্যালয় সংলগ্ন ৪৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী পচাবহলা ভোলা মিয়ার বাজারের ১০টি দোকান ইতিমধ্যে নদীরগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। দ্রুত নদী ভাঙ্গন রোধ না হলে বিদ্যালয়সহ ঐতিহ্যবাহী বাজারের প্রায় দুইশত ব্যবসায়ীসহ ওই অঞ্চলের কৃষকরা অসহায় হয়ে পড়বে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে।
বণিক সমিতির সদস্য ওয়াহেদ আলমসহ ব্যবসায়ীরা দ্রুত ভাঙ্গন রোধে প্রশাসনের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান দুলাল জানান, প্রতিনিয়তই ইসলামপুরবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে কাজ করে যাচ্ছি। উন্নয়নের স্বার্থে এটা আমার চলমান প্রক্রিয়া। নদী ভাঙ্গনে দোকানপাট নদীর গর্ভে বিলীন হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। বিদ্যালয় ভবনটিও পরিদর্শন করেছি। ভাঙ্গন রোধে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।