ঢাকা ০১:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
১০ শয্যার মাদারগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র : ভবন আছে, চিকিৎসক নেই ইসলামপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা পেল ঢেউটিন ইসলামপুরে পৌর নাগরিকসেবা নিশ্চিতের দাবিতে হাফিজ পাঠাগারের স্মারকলিপি পেশ দেওয়ানগঞ্জে দিনব্যাপী পুষ্টি মেলায় বাউল গান ও সমৃদ্ধ আলোচনা অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে পাট উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম প্রাণ প্রকৃতি শিক্ষা স্কুল নিসর্গপাঠ চালু হল সরিষাবাড়ীতে জাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির নতুন কমিটির সভাপতি রাবেয়া, সম্পাদক ইয়াসির দেওয়ানগঞ্জে ঔষধ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন সরিষাবাড়ীতে বালু উত্তোলনের অপরাধে ড্রেজার মালিকসহ ৭ জনের কারাদণ্ড মাদারগঞ্জে বিকল্প জীবিকার জন্য ১৬ জেলে পেলেন বকনা বাছুর

রাজধানীতে সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন

সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তৃতীয় আইওরা সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন (ব্লু ইকনমি মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্স) এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ সেপ্টেম্বর এর উদ্বোধন করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভারত মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওরা) দুইদিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্র অর্থনীতিকে সামনে রেখে সমুদ্রে অব্যবহৃত ও এর তলদেশে অ-উন্মোচিত সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে এই অঞ্চলে যার যার টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করার সুযোগ রয়েছে। সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে আমরা দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তাসহ বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র সম্পদের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম ‘সমুদ্র অঞ্চলের সীমা নির্ধারণ, সমুদ্র সীমানায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের জন্য ‘দি টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স এন্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন। এই আইনটি জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষণার আট বছর পূর্বেই বাংলাদেশে কার্যকর করা হয়। যখন আন্তর্জাতিক পরিম-লে এ সম্পর্কে ততটা ধারণাই ছিল না।

সরকার প্রধান বলেন, সমুদ্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা শিল্পগুলো যেমন- পণ্য পরিবহন, মৎস্য শিল্প, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সমুদ্র বন্দর, পর্যটন, মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস, মেরিন বায়োটেকনোলজি ইত্যাদি বর্তমানে বিশ্ব অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে অবদান রাখছে।

সরকার প্রধান বলেন, সাগর ও মহাসাগর গ্রীনহাউস গ্যাসের প্রায় ৩০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সৃষ্ট অতিরিক্ত তাপের প্রায় ৯০ শতাংশই শোষণ করে থাকে। সমুদ্র বাস্তু ধ্বংস হলে মানবজাতির অস্তিত্বও হুমকির মুখে পড়বে উল্লেখ করে তিনি সকলে মিলে এই বিপর্যয় মোকাবেলার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইওরা চেয়ারপার্সন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবেশ, বন এবং মৎস্য সম্পদ বিষয়ক উপমন্ত্রী মাখোতসো মেডেলিন সতিও, আইওরা মহাসচিব ড. নমভুভো এন.নকউই, আন্তর্জাতিক সিবেড কতৃর্পক্ষের মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র সম্পর্কিত ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব:) খোরশেদ আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিদেশি কূটনিতিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং ২২টি সদস্য রাষ্ট্রের সচিবসহ বিশেষজ্ঞবৃন্দ এবং আইওরা’র ৮টি ডায়ালগ পার্টনার দেশ গতকাল শুরু হওয়া এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।

সম্মেলন শেষে ‘ঢাকা ঘোষণা’ এবং সম্মেলনে প্রাপ্ত অন্যান্য নথির মাধমে আইওরা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ব্লু ইকোমনমিকে আরো জোরদার করার অঙ্গীকার প্রতিভাত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দি ইন্টারগভার্নমেন্টাল অর্গানাইজেশন (আইওরা-আইওআরএ) ১৯৯৭ সালে ভারত মহাসাগর তীরবর্তী ২১ দেশ নিয়ে গঠিত হয়। সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- অষ্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কমরস, ইন্ডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কেনিয়া, মাদাগাসকার, মালয়েশিয়া, মরিশাস, মোজাম্বিক, ওমান, সিশেলস, সিঙ্গাপুর, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা,শ্রীলংকা,তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন। জাপান, জার্মানি, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং মিশর আইওরা’র ডায়ালগ পার্টনার। সূত্র : বাসস

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

১০ শয্যার মাদারগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র : ভবন আছে, চিকিৎসক নেই

রাজধানীতে সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন

আপডেট সময় ০৯:৩৭:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯
সম্মেলনে উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক :
রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে তৃতীয় আইওরা সমুদ্র অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলন (ব্লু ইকনমি মিনিস্টেরিয়াল কনফারেন্স) এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ সেপ্টেম্বর এর উদ্বোধন করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ভারত মহাসাগর রিম অ্যাসোসিয়েশন (আইওরা) দুইদিনব্যাপী এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্র অর্থনীতিকে সামনে রেখে সমুদ্রে অব্যবহৃত ও এর তলদেশে অ-উন্মোচিত সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে এই অঞ্চলে যার যার টেকসই উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে আরও ত্বরান্বিত করার সুযোগ রয়েছে। সমুদ্র সম্পদ ব্যবহার করে আমরা দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তাসহ বিপুল কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র সম্পদের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই জাতির পিতা ১৯৭৪ সালে সর্বপ্রথম ‘সমুদ্র অঞ্চলের সীমা নির্ধারণ, সমুদ্র সীমানায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা ও সমুদ্র সম্পদ অনুসন্ধান ও আহরণের জন্য ‘দি টেরিটোরিয়াল ওয়াটার্স এন্ড মেরিটাইম জোন অ্যাক্ট, ১৯৭৪’ প্রণয়ন করেন। এই আইনটি জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষণার আট বছর পূর্বেই বাংলাদেশে কার্যকর করা হয়। যখন আন্তর্জাতিক পরিম-লে এ সম্পর্কে ততটা ধারণাই ছিল না।

সরকার প্রধান বলেন, সমুদ্রকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা শিল্পগুলো যেমন- পণ্য পরিবহন, মৎস্য শিল্প, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সমুদ্র বন্দর, পর্যটন, মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস, মেরিন বায়োটেকনোলজি ইত্যাদি বর্তমানে বিশ্ব অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে অবদান রাখছে।

সরকার প্রধান বলেন, সাগর ও মহাসাগর গ্রীনহাউস গ্যাসের প্রায় ৩০ শতাংশ এবং বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে সৃষ্ট অতিরিক্ত তাপের প্রায় ৯০ শতাংশই শোষণ করে থাকে। সমুদ্র বাস্তু ধ্বংস হলে মানবজাতির অস্তিত্বও হুমকির মুখে পড়বে উল্লেখ করে তিনি সকলে মিলে এই বিপর্যয় মোকাবেলার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, আইওরা চেয়ারপার্সন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার পরিবেশ, বন এবং মৎস্য সম্পদ বিষয়ক উপমন্ত্রী মাখোতসো মেডেলিন সতিও, আইওরা মহাসচিব ড. নমভুভো এন.নকউই, আন্তর্জাতিক সিবেড কতৃর্পক্ষের মহাসচিব মাইকেল ডব্লিউ লজ অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমুদ্র সম্পর্কিত ইউনিটের সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব:) খোরশেদ আলম স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, উচ্চ পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, বিদেশি কূটনিতিক এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। মন্ত্রী, উপমন্ত্রী এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং ২২টি সদস্য রাষ্ট্রের সচিবসহ বিশেষজ্ঞবৃন্দ এবং আইওরা’র ৮টি ডায়ালগ পার্টনার দেশ গতকাল শুরু হওয়া এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ করছেন।

সম্মেলন শেষে ‘ঢাকা ঘোষণা’ এবং সম্মেলনে প্রাপ্ত অন্যান্য নথির মাধমে আইওরা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ব্লু ইকোমনমিকে আরো জোরদার করার অঙ্গীকার প্রতিভাত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দি ইন্টারগভার্নমেন্টাল অর্গানাইজেশন (আইওরা-আইওআরএ) ১৯৯৭ সালে ভারত মহাসাগর তীরবর্তী ২১ দেশ নিয়ে গঠিত হয়। সদস্য দেশগুলো হচ্ছে- অষ্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, কমরস, ইন্ডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, কেনিয়া, মাদাগাসকার, মালয়েশিয়া, মরিশাস, মোজাম্বিক, ওমান, সিশেলস, সিঙ্গাপুর, সোমালিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা,শ্রীলংকা,তানজানিয়া, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন। জাপান, জার্মানি, চীন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং মিশর আইওরা’র ডায়ালগ পার্টনার। সূত্র : বাসস