ঢাকা ১০:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে জীবন বদলে ফেলার ওপর জোর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা স্থানীয়ভাবে গুজব ও অপতথ্য মোকাবিলায় জেলা তথ্য অফিসসমূহকে কাজ করতে হবে : তথ্য উপদেষ্টা ভবিষ্যতে বিতর্কিত কোনো ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে দেখতে চায় না বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ ইন্টারনেট সেবার দাম কমানোর ঘোষণা সামিটের ইথিওপিয়ার সাড়ে ৬ লাখ নারী ও শিশুর খাদ্য সহায়তা বন্ধ ডব্লিউএফপি’র পাকিস্তানে যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ১৩ উবারের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর সাবস্ক্রিপশন কৌশলের অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে মামলা বৃষ্টি বিঘ্নিত দিনে শান্তর হাফ-সেঞ্চুরিতে ১১২ রানে এগিয়ে বাংলাদেশ কোপা ডেল রে’র ফাইনালে ফেরার লক্ষ্য এমবাপ্পের : আনচেলত্তি সরিষাবাড়ীতে যুবদলনেতা ও তার বাবাকে পিটিয়ে আহত

ইসলামপুরে ইদ্রিস আলী হত্যার রহস্য উন্মোচন, আসামি গ্রেপ্তার

গ্রেপ্তার জালাল উদ্দিন ও আসমত আলী। ছবি : লিয়াকত হোসাইন লায়ন

গ্রেপ্তার জালাল উদ্দিন ও আসমত আলী। ছবি : লিয়াকত হোসাইন লায়ন

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ইদ্রিস আলী হত্যাকান্ডের ১৯ দিনের মাথায় আসামি গ্রেপ্তার ও রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ইদ্রিস আলীকে তার নিজের চাচা বল্লম দিয়ে ঘা মারলে গলার শ্বাসনালিতে ছিদ্র হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তার ছোটভাই ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে চাচা জালাল উদ্দিনসহ আটজনের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট উপজেলার চর পটিমারী ইউনিয়নের ডিগ্রীরচর আকন্দপাড়া গ্রামে মৃত আব্দুল করিমের ছেলে ইদ্রিস আলী (২৫) তার চাচা জালাল উদ্দিনের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তার চাচা জালাল এক পর্যায়ে ইদ্রিস আলীর গলায় বল্লম দিয়ে ঘা মারলে গলার শ্বাসনালীতে ছিদ্র হয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমন মিয়া ও ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেনের নির্দেশে হত্যা মামলাটির রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তারে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। ডিগ্রীরচর তদন্ত কেন্দ্রের উপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম অনুসন্ধানে হত্যার মামলাটির ১ ও ২ নম্বর আসামি জালাল উদ্দিন ও আসমত আলীকে ময়মনসিংহ জেলার কতোয়ালী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহতের চাচা জালাল উদ্দিন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, নিজ বাড়িতে পাওনা টাকার বিষয়কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাঁশের তৈরি হলঙ্গা (বল্লম) দিয়ে ভাতিজা ইদ্রিসের শ্বাসনালীতে আঘাত করলে গলায় ছিদ্র হয়ে মারা যান। দোষ স্বীকারোক্তিমূলক ঘাতক চাচার জবানবন্দিতে নির্মম হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মেচিত হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

ক্ষুদ্রঋণ ও সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে জীবন বদলে ফেলার ওপর জোর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

ইসলামপুরে ইদ্রিস আলী হত্যার রহস্য উন্মোচন, আসামি গ্রেপ্তার

আপডেট সময় ০৭:৩৬:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯
গ্রেপ্তার জালাল উদ্দিন ও আসমত আলী। ছবি : লিয়াকত হোসাইন লায়ন

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় চাঞ্চল্যকর ইদ্রিস আলী হত্যাকান্ডের ১৯ দিনের মাথায় আসামি গ্রেপ্তার ও রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ইদ্রিস আলীকে তার নিজের চাচা বল্লম দিয়ে ঘা মারলে গলার শ্বাসনালিতে ছিদ্র হয়ে মারা যান তিনি। এ ঘটনায় তার ছোটভাই ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে চাচা জালাল উদ্দিনসহ আটজনের বিরুদ্ধে ইসলামপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট উপজেলার চর পটিমারী ইউনিয়নের ডিগ্রীরচর আকন্দপাড়া গ্রামে মৃত আব্দুল করিমের ছেলে ইদ্রিস আলী (২৫) তার চাচা জালাল উদ্দিনের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তার চাচা জালাল এক পর্যায়ে ইদ্রিস আলীর গলায় বল্লম দিয়ে ঘা মারলে গলার শ্বাসনালীতে ছিদ্র হয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ইসলামপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সুমন মিয়া ও ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেনের নির্দেশে হত্যা মামলাটির রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেপ্তারে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। ডিগ্রীরচর তদন্ত কেন্দ্রের উপরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম অনুসন্ধানে হত্যার মামলাটির ১ ও ২ নম্বর আসামি জালাল উদ্দিন ও আসমত আলীকে ময়মনসিংহ জেলার কতোয়ালী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিহতের চাচা জালাল উদ্দিন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে জানান, নিজ বাড়িতে পাওনা টাকার বিষয়কে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে বাঁশের তৈরি হলঙ্গা (বল্লম) দিয়ে ভাতিজা ইদ্রিসের শ্বাসনালীতে আঘাত করলে গলায় ছিদ্র হয়ে মারা যান। দোষ স্বীকারোক্তিমূলক ঘাতক চাচার জবানবন্দিতে নির্মম হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মেচিত হয়।