ঢাকা ০২:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিলে হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম সুফি ফেস্টিভ্যাল বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জার্সি উন্মোচন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসকদের সজাগ থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার দেশের স্থায়ী উন্নয়ন নিশ্চিতে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই : ফখরুল দেওয়ানগঞ্জে বিএনপির সম্মেলন ১৭ ফেব্রুয়ারি, নেতা-কর্মীরা উচ্ছ্বসিত দেওয়ানপাড়ায় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত আবু সাঈদ হত্যা মামলার আসামি ইমরান ইসলামপুরে গ্রেপ্তার বাংলাদেশকে বিপজ্জনক বর্জ্যের ভাগাড় হতে দেওয়া যাবে না : রিজওয়ানা সুইডেনে তুষার ঝড়ের কারণে সৃষ্ট সড়ক দুর্ঘটনায় শতাধিক আহত নয়াদিল্লিতে পদদলিত হয়ে ১৮ জনের মৃত্যু

বকশীগঞ্জে স্বাক্ষর জাল করা প্রধান শিক্ষকের শাস্তি চান সহকর্মীরাও

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় স্বাক্ষর জালকারী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন তার সহকর্মীরা। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই শিক্ষকের ঘটনা তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, চর আইরমারী আক্কাছ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালের অভিযোগ এনে ২৬ আগস্ট বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি মো. আক্কাছ আলী। ওই অভিযোগ দায়েরের পর শিক্ষকদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়।

লিখিত ওই অভিযোগে মো. আক্কাছ আলী জানান, ইসমাইল হোসেন তার বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না, ঠিকভাবে ক্লাসে পাঠদান করান না। শুধু তাই নয় তার স্বাক্ষর জাল করে স্লিপের টাকা উত্তোলন করেছেন দুনীতিবাজ ওই শিক্ষক। ভারপ্রাপ্ত ওই প্রধান শিক্ষকের সাথে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বনিবনা নেই। তিনি একদিন বিদ্যালয়ে এসে শুধু হাজিরা দেন। কিভাবে পাঠদান হচ্ছে এসব খোঁজ নিতে গেলে সভাপতি আক্কাছ আলীর সাথে তার দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

তবে ওই অভিযোগ দায়েরের পর আদৌ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কোনো শাস্তি বা তদন্ত হবে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারই কিছু সহকর্মী।

নাম প্রকাশে একজন শিক্ষক জানান, তার (ইসমাইল হোসেন) বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিস তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে মনে হয় না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শিক্ষা অফিসের প্রত্যেকটি কর্মকর্তা তাকে পরোক্ষভাবে মদদ দিয়ে থাকেন। এ কারণে তিনি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছেন।

আরো কয়েকজন শিক্ষক জানান, ইসমাইল হোসেনসহ একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে জিম্মি করে বদলি বাণিজ্য ও শিক্ষকদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার কথা বলে শিক্ষকদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তবে তারা শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের কৃতকর্মের জন্যশাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

অপরদিকে চর আইরমারী আক্কাছ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আক্কাছ আলী জানান, তিনি ধর্মীয় কাজে চিল্লায় থাকায় এই সুযোগে তার স্বাক্ষর জাল করে স্লিপ প্রকল্পের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন। তাই তিনি জালিয়াতির হোতা ইসমাইল হোসেনকে শাস্তিমূলক বদলির দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অরুনা রায় জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

ঐতিহাসিক আহসান মঞ্জিলে হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম সুফি ফেস্টিভ্যাল

বকশীগঞ্জে স্বাক্ষর জাল করা প্রধান শিক্ষকের শাস্তি চান সহকর্মীরাও

আপডেট সময় ০৮:০৪:১৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০১৯

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় স্বাক্ষর জালকারী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন তার সহকর্মীরা। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই শিক্ষকের ঘটনা তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, চর আইরমারী আক্কাছ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালের অভিযোগ এনে ২৬ আগস্ট বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি মো. আক্কাছ আলী। ওই অভিযোগ দায়েরের পর শিক্ষকদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়।

লিখিত ওই অভিযোগে মো. আক্কাছ আলী জানান, ইসমাইল হোসেন তার বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না, ঠিকভাবে ক্লাসে পাঠদান করান না। শুধু তাই নয় তার স্বাক্ষর জাল করে স্লিপের টাকা উত্তোলন করেছেন দুনীতিবাজ ওই শিক্ষক। ভারপ্রাপ্ত ওই প্রধান শিক্ষকের সাথে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বনিবনা নেই। তিনি একদিন বিদ্যালয়ে এসে শুধু হাজিরা দেন। কিভাবে পাঠদান হচ্ছে এসব খোঁজ নিতে গেলে সভাপতি আক্কাছ আলীর সাথে তার দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

তবে ওই অভিযোগ দায়েরের পর আদৌ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কোনো শাস্তি বা তদন্ত হবে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারই কিছু সহকর্মী।

নাম প্রকাশে একজন শিক্ষক জানান, তার (ইসমাইল হোসেন) বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিস তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে মনে হয় না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শিক্ষা অফিসের প্রত্যেকটি কর্মকর্তা তাকে পরোক্ষভাবে মদদ দিয়ে থাকেন। এ কারণে তিনি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছেন।

আরো কয়েকজন শিক্ষক জানান, ইসমাইল হোসেনসহ একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে জিম্মি করে বদলি বাণিজ্য ও শিক্ষকদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার কথা বলে শিক্ষকদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তবে তারা শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের কৃতকর্মের জন্যশাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

অপরদিকে চর আইরমারী আক্কাছ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আক্কাছ আলী জানান, তিনি ধর্মীয় কাজে চিল্লায় থাকায় এই সুযোগে তার স্বাক্ষর জাল করে স্লিপ প্রকল্পের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন। তাই তিনি জালিয়াতির হোতা ইসমাইল হোসেনকে শাস্তিমূলক বদলির দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অরুনা রায় জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।