বকশীগঞ্জে স্বাক্ষর জাল করা প্রধান শিক্ষকের শাস্তি চান সহকর্মীরাও

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় স্বাক্ষর জালকারী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন তার সহকর্মীরা। অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই শিক্ষকের ঘটনা তদন্ত করার দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, চর আইরমারী আক্কাছ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালের অভিযোগ এনে ২৬ আগস্ট বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির (এসএমসি) সভাপতি মো. আক্কাছ আলী। ওই অভিযোগ দায়েরের পর শিক্ষকদের মধ্যে তোলপাড় শুরু হয়।

লিখিত ওই অভিযোগে মো. আক্কাছ আলী জানান, ইসমাইল হোসেন তার বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকেই তিনি নিয়মিত বিদ্যালয়ে আসেন না, ঠিকভাবে ক্লাসে পাঠদান করান না। শুধু তাই নয় তার স্বাক্ষর জাল করে স্লিপের টাকা উত্তোলন করেছেন দুনীতিবাজ ওই শিক্ষক। ভারপ্রাপ্ত ওই প্রধান শিক্ষকের সাথে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির বনিবনা নেই। তিনি একদিন বিদ্যালয়ে এসে শুধু হাজিরা দেন। কিভাবে পাঠদান হচ্ছে এসব খোঁজ নিতে গেলে সভাপতি আক্কাছ আলীর সাথে তার দূরত্ব সৃষ্টি হয়।

তবে ওই অভিযোগ দায়েরের পর আদৌ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের কোনো শাস্তি বা তদন্ত হবে কিনা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারই কিছু সহকর্মী।

নাম প্রকাশে একজন শিক্ষক জানান, তার (ইসমাইল হোসেন) বিরুদ্ধে শিক্ষা অফিস তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে মনে হয় না। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, শিক্ষা অফিসের প্রত্যেকটি কর্মকর্তা তাকে পরোক্ষভাবে মদদ দিয়ে থাকেন। এ কারণে তিনি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছেন।

আরো কয়েকজন শিক্ষক জানান, ইসমাইল হোসেনসহ একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে জিম্মি করে বদলি বাণিজ্য ও শিক্ষকদের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার কথা বলে শিক্ষকদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। তবে তারা শিক্ষক ইসমাইল হোসেনের কৃতকর্মের জন্যশাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

অপরদিকে চর আইরমারী আক্কাছ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জমিদাতা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আক্কাছ আলী জানান, তিনি ধর্মীয় কাজে চিল্লায় থাকায় এই সুযোগে তার স্বাক্ষর জাল করে স্লিপ প্রকল্পের টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন। তাই তিনি জালিয়াতির হোতা ইসমাইল হোসেনকে শাস্তিমূলক বদলির দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অরুনা রায় জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।