বশেফমুবিপ্রবির বঙ্গমাতার ৮৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বশেফমুবিপ্রবি’র অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে শোভাযাত্রা বের করা হয়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেফমুবিপ্রবি) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৯তম জন্মবার্ষিকী নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে উদযাপন করেছে।

৮ আগস্ট জামালপুর শহরের দেওয়ানপাড়ার অস্থায়ী ক্যাম্পাস থেকে সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি ফৌজদারি মোড়, বকুলতলা মোড় হয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রা শেষে শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ্, সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার খন্দকার হামিদুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জামালপুর জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবু, বিশ্ববিদ্যালয়ের চার বিভাগের চেয়ারম্যান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিহাদুল আলম নিহাদ প্রমুখ। আলোচনা অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রফেসর ড. এ এইচ এম মাহবুবুর রহমান।

এসময় বক্তারা এই মহীয়সী নারী বঙ্গমাতার এই দেশ এবং দেশের মানুষের জন্য নিজের আত্মত্যাগ এবং অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।

উপাচার্য প্রফেসর ড. সৈয়দ সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, সহধর্মিণী হিসেবে নয়, রাজনৈতিক সহকর্মী হিসেবে আজীবন প্রিয়তম স্বামী শেখ মুজিবুর রহমানের ছায়াসঙ্গী ছিলেন শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি ইতিহাসের কালজয়ী মহানায়ক শেখ মুজিবের অনুপ্রেরণাদায়িনী হয়ে পাশে ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে সপরিবারে তাদের হত্যা করে স্বাধীনতা বিরোধীরা। বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের প্রতিটি ধাপে ধাপে বঙ্গমাতার অবদান রয়েছে। আর সেটা বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী হিসেবে নয় একজন নীরব দক্ষ সংগঠক হিসেবে। যিনি ধূপের মতো নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে ভূমিকা রেখেছেন এবং বঙ্গবন্ধুকে হিমালয়সম আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এভাবেই তিনি হয়ে ওঠেছেন বাঙালি জাতির মমতাময়ী মাতা। তার নামে প্রতিষ্ঠিত ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে’র প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য হিসেবে আমিও গর্বিত ও সম্মানিত। জন্মদিনে সর্বজন শ্রদ্ধেয় মহিয়সী এ নারীর প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। বঙ্গমাতার আদর্শে আর মননে গড়ে উঠুক এদেশের নতুন প্রজন্মের নারীরা।

এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বঙ্গমাতার জন্মদিন উপলক্ষে এক বিশেষ দোয়া এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

sarkar furniture Ad
Green House Ad