ঢাকা ০২:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ছাত্রদলনেতা সাম্য হত্যার বিচার চায় সরিষাবাড়ীর ছাত্রদল মেলান্দহে আগুনে পুড়ে আশি বছরের বৃদ্ধার মৃত্যু ছাত্রদলনেতা সাম্য হত্যার বিচার চায় বকশীগঞ্জের ছাত্রদল বকশীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অটোচালকের মৃত্যু আওয়ামী লীগ নেত্রী ময়ুরীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ, মাদারগঞ্জে মানববন্ধন জামালপুরে শিশুদের কল্যাণে উপদেষ্টা কমিটি গঠিত বকশীগঞ্জে সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস চেয়ে আবেদন ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার প্রতিবাদে জামালপুরে বিক্ষোভ ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনতে হবে : পুষ্টি সভায় জাবিপ্রবি ভিসি রুকুনুজ্জামান হতে যাচ্ছে জামালপুর ১ম বিভাগ ফুটবল লিগ, প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

বকশীগঞ্জে ফের বন্যার আশঙ্কা!

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। ২৬ জুলাই সারাদিনে বন্যার কমেওনি, বাড়েওনি। এদিকে দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমনুার পানি বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পার্শ্ববর্তী দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা নতুন করে প্লাবিত হওয়া শুরু হওয়ায় বকশীগঞ্জেও নতুন করে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বন্যা মোকাবেলায় নতুন করে ধকল সামলাতে হবে বানভাসি মানুষকে।

জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলায় বন্যা শুরু হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পুরাতন ব্রহ্মপত্র নদ ও দশানী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাপক বন্যা শুরু হয়। এ্ই বন্যায় সাধুরপাড়া, মেরুরচর, বগারচর, নিলক্ষিয়া ইউনিয়নসহ সাতটি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বন্যায় সরকারি হিসাবে এক লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এতে করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় মানুষের। সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বিলেরপাড় গ্রামের সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে মানুষের। কামালেরবার্তী থেকে গাজীরপাড়া রাস্তাটি বন্যায় বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ায় এই গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই গ্রামের মানুষ নৌকা যোগে তাদের প্রয়োজন মিটিয়ে নিচ্ছেন।

বর্তমানেও উপজেলার প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এতে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনও বন্যা সমস্যায় ভুগছে। বন্যার কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। তেমনি খাদ্য নিরাপত্তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১২৩ মেট্রিক চাল ,দুই হাজার ৯০ পেকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ ১৩ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বাকি ৮৭ হাজার মানুষের কাছে এখনও যেতে পারে নি স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে নতুন করে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় মানুষের মধ্যে নতুন করে দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে। প্রথম বন্যার ধকল শেষ না হতেই ফের বন্যার আশংকা তৈরি হওয়ায় মানুষ হতাশা বিরাজ করছে।

এদিকে বন্যার পানিতে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় আগামি রোপা আমন চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

আপলোডকারীর তথ্য

ছাত্রদলনেতা সাম্য হত্যার বিচার চায় সরিষাবাড়ীর ছাত্রদল

বকশীগঞ্জে ফের বন্যার আশঙ্কা!

আপডেট সময় ০৬:৪৬:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০১৯

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পানি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে। ২৬ জুলাই সারাদিনে বন্যার কমেওনি, বাড়েওনি। এদিকে দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমনুার পানি বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পার্শ্ববর্তী দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা নতুন করে প্লাবিত হওয়া শুরু হওয়ায় বকশীগঞ্জেও নতুন করে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফলে বন্যা মোকাবেলায় নতুন করে ধকল সামলাতে হবে বানভাসি মানুষকে।

জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই থেকে বকশীগঞ্জ উপজেলায় বন্যা শুরু হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পুরাতন ব্রহ্মপত্র নদ ও দশানী নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাপক বন্যা শুরু হয়। এ্ই বন্যায় সাধুরপাড়া, মেরুরচর, বগারচর, নিলক্ষিয়া ইউনিয়নসহ সাতটি ইউনিয়নের প্রায় দেড় লাখ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বন্যায় সরকারি হিসাবে এক লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। এতে করে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় মানুষের। সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বিলেরপাড় গ্রামের সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে মানুষের। কামালেরবার্তী থেকে গাজীরপাড়া রাস্তাটি বন্যায় বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়ায় এই গ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এই গ্রামের মানুষ নৌকা যোগে তাদের প্রয়োজন মিটিয়ে নিচ্ছেন।

বর্তমানেও উপজেলার প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছে। এতে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এখনও বন্যা সমস্যায় ভুগছে। বন্যার কারণে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক শুরু হয়েছে। তেমনি খাদ্য নিরাপত্তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১২৩ মেট্রিক চাল ,দুই হাজার ৯০ পেকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। অর্থ্যাৎ ১৩ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বাকি ৮৭ হাজার মানুষের কাছে এখনও যেতে পারে নি স্থানীয় প্রশাসন। এর মধ্যে নতুন করে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় মানুষের মধ্যে নতুন করে দুশ্চিন্তা শুরু হয়েছে। প্রথম বন্যার ধকল শেষ না হতেই ফের বন্যার আশংকা তৈরি হওয়ায় মানুষ হতাশা বিরাজ করছে।

এদিকে বন্যার পানিতে বীজতলা নষ্ট হওয়ায় আগামি রোপা আমন চাষ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।