
মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যমুনা, ঝিনাই ও সূবর্ণখালী নদীসহ খাল-বিলের পানি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকা জুড়ে বন্যার ব্যাপক অবনতি হয়েছে।বন্যায় হুমকির মুখে পড়েছে সরিষাবাড়ী তারাকান্দি-ভূয়াপুর মহাসড়ক।
বানভাসি এলাকায় খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ১৭ জুলাই থেকে রেলসহ সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে বিদ্যালয়, কলেজ, মাদরাসা, কিন্ডার গার্টেনসহ প্রায় ১৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান। ধর্মীয় উপাসনাগুলোতেই উঠেছে বন্যার পানি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, উপজেলা হাসপাতালে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ব্যাহত হচ্ছে স্বাস্থ্য সেবাও। নিচ তলায় পানি উঠায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে জরুরি বিভাগ। প্রায় ৩ হাজার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন খাদ্য গুদামে পানি ঢুকে খাদ্য শস্য নষ্ট হবার আশংকা রয়েছে। খাদ্য শস্য সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে নিরাপদ স্থানে। থানায় পানি প্রবেশ করায় নিরাপত্তা কাজেও হচ্ছে ব্যাহত। এ সাড়াও রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, আলহাজ জুট মিল, এ আর মিল, পপুলার জুট মিল, কে এইচ বি জুট মিল, আরামনগর বাজার, সিমলা বাজার, বাউসি বাজার, পোস্ট অফিস, ভূমি অফিসসহ পৌর এলাকার সব স্থানে বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।

এ দিকে যমুনার নদীর পাড় ঘেঁষে সরিষাবাড়ী তারাকান্দি-ভূয়াপুর সড়কের কুমারপাড়া, বাসুরিয়া, ঝালুপাড়াসহ কয়েকটি স্থানে লিকেজ দেখা দেওয়ায় সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি বাঁধ ভেঙ্গে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমাউন কবীর বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ২৮৪টি শুকনো খাবারের প্যাকেট ও ১০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ পেয়ে তা বিতরণের জন্য বন্টন করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিহাব উদ্দিন আহমদ বাংলারচিঠিডটকমকে জানান, বানভাসি মানুষের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয় কেন্দ্র করা হয়েছে। বানভাসি প্রতিটি পরিবার যেন সরকারি ত্রাণ পায় সে ব্যাপারে নজর রাখা হচ্ছে।