ঢাকা ০৮:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সরিষাবাড়ীতে ভূমি অধিগ্রহণের চেক বিতরণে অনিয়ম মেলান্দহে বিট পুলিশিং সভা অনুষ্ঠিত আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মামলা, প্রতিবাদে বকশীগঞ্জে মানববন্ধন সরিষাবাড়ীতে ১৯ কেজি গাঁজা উদ্ধার, মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার বিএনপি সংস্কার চায় না, জল ঘোলা করতেই এমন অভিযোগ : আমীর খসরু প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে স্পেসএক্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট লরেন ড্রেয়ারের সাক্ষাৎ অপপ্রচারের প্রতিবাদে মাদারগঞ্জে জামায়াতে ইসলামীর সংবাদ সম্মেলন বিএফডিসির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সরকার বহুমুখী উদ্যোগ নিয়েছে: মাহফুজ আলম পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিতে প্রধান উপদেষ্টা দোহা থেকে সরাসরি রোমে যাবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তৎপরতায় রোহিঙ্গা সংকট বৈশ্বিক আলোচনায় ফিরেছে : প্রেস সচিব

লটকন চাষে লাভের মুখ দেখছেন নকলার কৃষকরা

নকলার লটকন চাষী শফিকুল ইসলাম। ছবি : বাংলারচিঠিডকম

নকলার লটকন চাষী শফিকুল ইসলাম। ছবি : বাংলারচিঠিডকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

লটকন চাষে লাভের মুখ দেখছেন শেরপুরের নকলা উপজেলার কৃষকরা। ফলটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় দিনদিন বাজারে ফলটির চাহিদা বাড়ায় লটকন চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। মুখরোচক ফল হিসেবে সুপরিচিত লটকন। ভিটামিন সি, ডি ও কার্বোহাইড্রেডযুক্ত ফলটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় বর্তমান বাজারে বেড়েছে এর চাহিদা। কম খরচে অল্প জমিতে এর ভাল ফলন হওয়ায় চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।

এ বছর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩০ হেক্টর জমিতে লটকনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই ফল চাষের শুরুতে গাছের চারা ক্রয় ও রোপণ খরচ ছাড়া আর কোনো খরচ নেই। তেমন কোনো পরিচর্যাও করতে হয় না। এই ফলের গাছ বেলে বা বেলে-দোআঁশ মাটিতে তথা পরিত্যক্ত জমিতে বেড়ে উঠতে পারে।

হালফাটা, বুবি, লটকাসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত এই ফলটি। বিগত দশ পনের বছর আগে শুধু বসতবাড়ির আঙিনায় লটকনের আবাদ হলেও বর্তমানে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ফলটি চাষ হচ্ছে। ফলন ভাল হওয়ায় বেশ খুশি এই অঞ্চলের কৃষকরা।

বর্তমানে আগাম জাতের কিছু লটকন বাজারে উঠতে শুরু করেছে। যার খুচরা মূল্য প্রতিমণ ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা, পাইকারি মূল্য ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। ছায়াযুক্ত স্থানে লটকন চাষ করে স্বাবলম্বী চাষিরা।

লটকন চাষী শরিফুল ইসলাম জানান, গেল বছর তার ৭০ শতাংশ জমিতে ১২০টি লটকন গাছের ফল অগ্রিম ২ লাখ ২০ হাজার হাজার টাকায় এবং এ বছর ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র দাস বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, বাড়ির আঙিনায় এবং যেকোনো কাঠ বা ফলের বাগানেও লটকন চাষ করা সম্ভব। ছায়াযুক্ত স্থানের লটকন মিষ্টি বেশি হয়। তাই এটা চাষ করতে বাড়তি জমির দরকার হয় না। তা ছাড়া ঝুঁকিমুক্ত এই ফলের আবাদ বাড়াতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন উপজেলা কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সরিষাবাড়ীতে ভূমি অধিগ্রহণের চেক বিতরণে অনিয়ম

লটকন চাষে লাভের মুখ দেখছেন নকলার কৃষকরা

আপডেট সময় ০৮:২৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুলাই ২০১৯
নকলার লটকন চাষী শফিকুল ইসলাম। ছবি : বাংলারচিঠিডকম

শফিউল আলম লাভলু, নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

লটকন চাষে লাভের মুখ দেখছেন শেরপুরের নকলা উপজেলার কৃষকরা। ফলটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় দিনদিন বাজারে ফলটির চাহিদা বাড়ায় লটকন চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের। মুখরোচক ফল হিসেবে সুপরিচিত লটকন। ভিটামিন সি, ডি ও কার্বোহাইড্রেডযুক্ত ফলটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ হওয়ায় বর্তমান বাজারে বেড়েছে এর চাহিদা। কম খরচে অল্প জমিতে এর ভাল ফলন হওয়ায় চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকদের।

এ বছর উপজেলায় চলতি মৌসুমে ৩০ হেক্টর জমিতে লটকনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এই ফল চাষের শুরুতে গাছের চারা ক্রয় ও রোপণ খরচ ছাড়া আর কোনো খরচ নেই। তেমন কোনো পরিচর্যাও করতে হয় না। এই ফলের গাছ বেলে বা বেলে-দোআঁশ মাটিতে তথা পরিত্যক্ত জমিতে বেড়ে উঠতে পারে।

হালফাটা, বুবি, লটকাসহ বিভিন্ন নামে পরিচিত এই ফলটি। বিগত দশ পনের বছর আগে শুধু বসতবাড়ির আঙিনায় লটকনের আবাদ হলেও বর্তমানে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে ফলটি চাষ হচ্ছে। ফলন ভাল হওয়ায় বেশ খুশি এই অঞ্চলের কৃষকরা।

বর্তমানে আগাম জাতের কিছু লটকন বাজারে উঠতে শুরু করেছে। যার খুচরা মূল্য প্রতিমণ ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা, পাইকারি মূল্য ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা। ছায়াযুক্ত স্থানে লটকন চাষ করে স্বাবলম্বী চাষিরা।

লটকন চাষী শরিফুল ইসলাম জানান, গেল বছর তার ৭০ শতাংশ জমিতে ১২০টি লটকন গাছের ফল অগ্রিম ২ লাখ ২০ হাজার হাজার টাকায় এবং এ বছর ২ লাখ ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা পরেশ চন্দ্র দাস বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, বাড়ির আঙিনায় এবং যেকোনো কাঠ বা ফলের বাগানেও লটকন চাষ করা সম্ভব। ছায়াযুক্ত স্থানের লটকন মিষ্টি বেশি হয়। তাই এটা চাষ করতে বাড়তি জমির দরকার হয় না। তা ছাড়া ঝুঁকিমুক্ত এই ফলের আবাদ বাড়াতে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানালেন উপজেলা কৃষি বিভাগের এই কর্মকর্তা।