অনলাইন পত্রিকায় বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য প্রকাশ বন্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে : সংসদে তথ্য প্রতিমন্ত্রী

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক: অনলাইন পত্রিকায় বিভ্রান্তিকর ও ভুল তথ্য প্রকাশ বন্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী চিকিৎসক মুরাদ হাসান। ৭ জুলাই জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি আরো জানান, অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো নিবন্ধনের জন্য সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কিছু অনলাইন নিউজ পোর্টাল আছে, অনেক সংবাদ পরিবেশন করে, তার কিছু কিছু হয়তো ঠিক নয়। আমরা বিভ্রান্তিকর বা বিব্রতকর খবর সেখানে দেখতে পাই। এটা বন্ধে যেসব অনলাইন নিউজ পোর্টাল পরিচালিত হচ্ছে, সেগুলো নিবন্ধনের লক্ষ্যে আবেদনের জন্য ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। এই সময় ১৫ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। আবেদনের সময় শেষ হলে এগুলো পর্যালোচনা ও যাচাই-বাছাই করে যোগ্য নিউজ পোর্টালগুলোর নিবন্ধনের ব্যবস্থা করা হবে।

জাতীয় সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান জানতে চান, তথ্য প্রযুক্তি আইনের আওতায় সাংবাদিকেরা স্বাধীন সংবাদ পরিবেশনে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কি না? জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্যের অবাধপ্রবাহ নিশ্চিত করার জন্য সরকার আন্তরিক। যে ধারাটির বিষয় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, তাতে সংবাদ প্রচার ও প্রকাশে কোনও বাধা আছে বলে মনে করি না। তবে, সাংবাদিকরা জন্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্থ হচ্ছেন, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানালে বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সরকারি দলের সদস্য আবু জাহিরের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মুরাদ হাসান বলেন, ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রচার করছে কিনা, তথ্য মন্ত্রণালয় তা সার্বক্ষণিকভাবে নজরদারি ও তদারকি করছে। কোথাও কোন মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশিত হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য শেখ এ্যানী রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন গণমাধ্যমবান্ধব সরকার ৮ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড রোয়েদাদ-২০১৩ ঘোষণার মাধ্যমে সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীদের বেতন ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করেছে, যা পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১৬৭টি পত্রিকায় ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়িত হয়েছে। অচিরেই ৯ম সংবাদপত্র মজুরি বোর্ড ঘোষণা করা হবে।

আওয়ামী লীগের মো. আয়েন উদ্দিনের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে সরকারি বেতার কেন্দ্র সংখ্যা ১৪টি। বেসরকারি ২৮টি এফএম বেতার কেন্দ্রের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ২৩টি এফএম বেতার কেন্দ্রের সম্প্রচার চলমান রয়েছে। এছাড়া ৩২টি কমিউনিটি রেডিওকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ১৭টি কমিউনিটি রেডিওর সম্প্রচার চলমান রয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি কমিউনিটি রেডিওর লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। সূত্র : কালের কণ্ঠ

sarkar furniture Ad
Green House Ad