জামালপুরে শিক্ষা কর্মকর্তাকে খাগড়াছড়ি বদলির হুমকি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেনের নাম ভাঙ্গিয়ে একজন শিক্ষিকার বদলির তদবির করতে গিয়ে জামালপুর সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে কটূক্তি, ভয়ভীতি দেখানো এবং তাকে খাগড়াছড়ি বদলির হুমকি দিয়েছে মতি মিয়া নামের এক তদবিরবাজ।

২০ মার্চ সকালে জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসে এ ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগসহ উপজেলার সর্বস্তরের সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

জানা গেছে, মতি মিয়ার বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার আদর্শ বটতলা এলাকায়। তিনি তার প্রতিবেশী চাচাত ভাই শাকিলের স্ত্রী নিউজি আক্তারকে জামালপুর সদরে বদলির জন্য তদবির করে আসছেন। ২০ মার্চ বেলা পৌনে ১১টার দিকে তিনি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ বিভাগীয় উপপরিচালকের মাধ্যমে করা বদলির আবেদন নিয়ে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। শিক্ষিকা নিউজি আক্তার বর্তমানে শেরপুর জেলা সদরের হেরুয়া তালুকদারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা পদে কর্মরত আছেন।

মতি মিয়া ওই বদলির আবেদনপত্রে প্রস্তাব করার জন্য শিক্ষা কর্মকর্তা নাহিদা ইয়াসমীনকে স্বাক্ষর করতে চাপ দেন। এক পর্যায়ে মতি মিয়া ক্ষীপ্ত হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে কর্মকর্তা নাহিদা ইয়াসমীনকে মারতে যান এবং অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। সংসদ সদস্যকে দিয়ে তাকে খাগড়াছড়ি বদলি করানোর হুমকি দেন। এ সময় তুমুল হট্টগোল দেখে উপজেলা পরিষদের অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা শিক্ষা কর্মকর্তা নাহিদা ইয়াসমীনকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে মতি মিয়া দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।

সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাহিদা ইয়াসমীন বলেন, সংসদ সদস্যের ভাতিজা পরিচয়ে মতি মিয়া সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে আমাকে ভয়ভীতি ও খাগড়াছড়ি বদলির হুমকি দিয়েছে। আমি এ ঘটনার উপযুক্ত বিচার চাই।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম এ ঘটনা প্রসঙ্গে বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, চাপপ্রয়োগ করে স্বাক্ষর নিতে এসে মতি মিয়া হুমকি ও গালিগালাজ করেছে এটা সরকারি কাজে বাঁধা দেওয়ার শামিল। বিভাগীয়ভাবে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে সংসদ সদস্য প্রকৌশলী মো. মোজাফফর হোসেন বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, আমি এই ধরনের ঘটনা মোটেই পছন্দ করি না। আমার নাম ভাঙ্গিয়ে যিনি শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে দুর্ব্যবহার করেছেন তাকে শনাক্ত করে উপযুক্ত বিচার করা হবে।