ঢাকা ১১:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নকলা মুক্ত দিবস ৯ ডিসেম্বর

নকলার রিহিলা গ্রামে নির্মিত এ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নকলার রিহিলা গ্রামে নির্মিত এ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

শফিউল আলম লাভলু
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

৯ ডিসেম্বর শেরপুরের নকলা উপজেলা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ এর এই দিনে ১১৭ জন সশস্ত্র রাজাকারের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মুক্ত হয়েছিল বর্তমান শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা।

নকলা উপজেলা সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাঠাকাটা ইউনিয়নের পলাশকান্দি গ্রামে ১৯৭১ এর ৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের অ্যামবুশের মধ্যে পড়ে ১১৭ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। সকাল সাতটায় নকলা থেকে পালিয়ে যাবার সময় অ্যামবুশে পড়ে ওই রাজাকাররা। পরে অস্ত্রসহ রাজাকারদের দলটি আত্মসমর্পণের পরই নকলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধারা।

অ্যামবুশে অংশগ্রহণ করা মুক্তিযোদ্ধারা আত্মসমর্পণ করা রাজাকারদের নিয়ে নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন রানা সিং, লেফটেন্যান্ট তাহের, লেফটেন্যান্ট কামাল, কোম্পানি কমান্ডার আব্দুর হক চৌধুরী, ইপিয়ারের নায়েক ফরহাদ, এসও একলিম শাহ্, প্লাটুন কমান্ডার এস এম নুরুল ইসলামসহ মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সদস্যরা। এ ছাড়া নকলার সর্বস্তরের মানুষজনও উপস্থিত ছিলেন । এ সময় নকলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হয়।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

নকলা মুক্ত দিবস ৯ ডিসেম্বর

আপডেট সময় ০৬:৫৮:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ডিসেম্বর ২০১৮
নকলার রিহিলা গ্রামে নির্মিত এ গ্রামের মুক্তিযোদ্ধাদের নামফলক। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

শফিউল আলম লাভলু
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

৯ ডিসেম্বর শেরপুরের নকলা উপজেলা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ এর এই দিনে ১১৭ জন সশস্ত্র রাজাকারের আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে মুক্ত হয়েছিল বর্তমান শেরপুর জেলার নকলা উপজেলা।

নকলা উপজেলা সদর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাঠাকাটা ইউনিয়নের পলাশকান্দি গ্রামে ১৯৭১ এর ৯ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের অ্যামবুশের মধ্যে পড়ে ১১৭ জন রাজাকার আত্মসমর্পণ করে। সকাল সাতটায় নকলা থেকে পালিয়ে যাবার সময় অ্যামবুশে পড়ে ওই রাজাকাররা। পরে অস্ত্রসহ রাজাকারদের দলটি আত্মসমর্পণের পরই নকলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে মুক্তিযোদ্ধারা।

অ্যামবুশে অংশগ্রহণ করা মুক্তিযোদ্ধারা আত্মসমর্পণ করা রাজাকারদের নিয়ে নকলা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে যায়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিত্র বাহিনীর ক্যাপ্টেন রানা সিং, লেফটেন্যান্ট তাহের, লেফটেন্যান্ট কামাল, কোম্পানি কমান্ডার আব্দুর হক চৌধুরী, ইপিয়ারের নায়েক ফরহাদ, এসও একলিম শাহ্, প্লাটুন কমান্ডার এস এম নুরুল ইসলামসহ মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর সদস্যরা। এ ছাড়া নকলার সর্বস্তরের মানুষজনও উপস্থিত ছিলেন । এ সময় নকলাকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হয়।