শফিউল আলম লাভলু
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি, বাংলারচিঠি ডটকম
‘ত্যাগ, সেবা ও প্রেমের রাণী ফাতেমা রাণী, মা মারিয়া’ এ মূল সুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের বারোমারী মিশনে ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের দুইদিনব্যাপী সর্ববৃহৎ তীর্থ উৎসব ২৬ অক্টোবর বিকেলে শেষ হয়েছে। এ উৎসবে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী ভক্ত ও দর্শনার্থীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়।
প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও ২৫ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে হাজারো ভক্তরা মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে বিশাল আলোর মিছিলে বের করে। মিছিলটি পাহাড়ের উঁচু-নিচু প্রায় দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে প্রার্থনার জায়গায় গিয়ে শেষ হয়। পরে শুরু হয় রাত্রিকালীন প্রার্থনা, গীতি আলেখ্য ও নিশি জাগরণ। ২৬ অক্টোবর ভোরে জীবন্ত ক্রুশের পথ ও মহা খ্রিস্টযাগের মধ্যদিয়ে এ তীর্থ উৎসব শেষ করা হয়।

এ তীর্থ উৎসবের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জেলা পুলিশ, বিজিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কড়া নজরদারীতে রেখেছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম।
রাজশাহী ধর্মপ্রদেশের প্রধান জের্বাস রোজারিও ধর্মপাল বলেন, ১৯৪১ সালে প্রায় ৪২ একর জমির ওপর বারোমারী সাধু লিওর ধর্মপল্লীটি প্রতিষ্ঠিত হয় । পরে ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের ফাতেমা নগরীর আদলে ও অনুকরণে এটিকে বার্ষিক তীর্থস্থান হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।
এদিকে তীর্থ উৎসবের পাশেই বসেছে আদিবাসীদের ব্যবহারের বিভিন্ন বস্ত্র ও আসবাবপত্র এবং শিশুদের খেলনা সামগ্রীর স্টলের আকর্ষণীয় মেলা।