বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি, জামালপুর ॥
ভিজিএফ এর চাল না পেয়ে ভুক্তভোগীদের মানববন্ধনের পর অভিযান চালিয়ে কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশে মজুদ করা ৭৮ বস্তা ভিজিএফ চাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ। ১৮ আগস্ট দুপুরে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা গেছে, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন কামালপুর ইউনিয়নের দু:স্থদের মাঝে বিতরণের জন্য ৮৪ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দেয়। এই চাল ইউনিয়নের ৪ হাজার ১৫৯ জন কার্ডধারী দু:স্থদের মাঝে জনপ্রতি ২০ কেজি করে বিতরণের কথা রয়েছে। ১৫ আগস্ট থেকে এই চাল বিতরণ শুরু হয়েছে।
১৮ আগস্ট সকালে ২০০ কার্ডধারী দু:স্থ লোক ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তাদের বরাদ্দের চাল না পেয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। তারা চাল বিতরণের দাবিতে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ প্রদর্শন শেষে স্থানীয় মৃধাপাড়া মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধন থেকে বিক্ষুব্ধ ভিজিএফ কার্ডধারীরা তাদের বরাদ্দের চাল আত্মসাতের সাথে জড়িত ধানুয়া কামালপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের শাস্তি এবং তাদের বরাদ্দের চাল বিতরণের দাবি জানান।
খবর পেয়ে বিকেল চারটার দিকে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসান সিদ্দিক এবং বকশীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আলাউদ্দিন একদল পুলিশ নিয়ে ধানুয়া কামালপুর ইউপির বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালান। এ সময় ইউনিয়নের উত্তর কামালপুর গ্রামের গোলাম মওলার বাড়িতে অবৈধভাবে মজুদ রাখা ৪৮ বস্তা এবং বালুগ্রাম এলাকার আলেমা বেগমের বাড়িতে মজুদ রাখা ৩০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল গা ঢাকা দিয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু হাসান সিদ্দিক বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, কত বস্তা চাল আত্মসাত করা হয়েছে তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। অভিযানের সময় ৭৮ বস্তা ভিজিএফ চাল জব্দ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। একই সাথে কার্ডধারী দু:স্থদের মাঝে চাল বিতরণের ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।