ঢাকা ০৫:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’ বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র পুরো সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার : জয়নুল আবদীন ফারুক পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৬০ বছরের ইতিহাসে পুলিশ এত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়নি : পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম হাটচন্দ্রায় মাকে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার ইসলামপুরে এক মাদরাসা শিক্ষক বহিষ্কার গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমানো হয়েছে : রিজওয়ানা ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে চান নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের না গাজা উপত্যকায় গত দিনে ইসরাইলি হামলায় ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত

জামালপুরে হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর ॥
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চালঞ্চ্যকর জয়নাল আবেদীন হত্যা মামলার রায়ে আটজন আসামির মধ্যে দু’জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আদালত যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ আটজন আসামিকে পৃথক দুটি ধারায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং অর্থদন্ডে দণ্ডিত করেছেন। ৮ আগস্ট জামালপুরের বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির এ দণ্ডাদেশ দেন।

খুনের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় আসামি আব্দুল জলিল ও ইয়াকুব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়াও দণ্ডবিধির ১৪৮ ধারায় মামলাটির আটজন আসামি আব্দুল জলিল, ইয়াকুব আলী, মোহাম্মদ খলিল, ফুলমতি, আলীমন, ফুলেছা, জয়গন বেগম ও সুনু সেককে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ৪৪৮ ধারায় প্রত্যেককে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে আসামি আব্দুল জলিল এবং ফুলেছা পলাতক রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের ১৯ মে দুপুরে ঝড়বৃষ্টির সময় জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার কাংগালকুর্শা গ্রামের ইয়াকুব আলীর বাঁশঝাড়ের ৪/৫টি তল্লা বাঁশ প্রতিবেশী আহেজ আলী সেকের বাড়ির পাশে পাকা ইরি ধান ক্ষেতে হেলে পড়ে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ ইয়াকুব আলী ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আহেজ আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীনসহ তার পরিবারের লোকজনদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জয়নাল আবেদীন খুন হন। ঘটনার দিনই নিহত জয়নাল আবেদীনের সহোদর মো. আলাউদ্দিন মেলান্দহ থানায় আব্দুল জলিলসহ আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শেষে বিচারক আজ বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি মুহাম্মদ খাজা আলম। মামলাটির আসামি পক্ষ সমর্থন করেন আইনজীবী আমান উল্লাহ আকাশ।

আপলোডকারীর তথ্য

প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’

জামালপুরে হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

আপডেট সময় ০৮:৪৬:০৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অগাস্ট ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর ॥
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার চালঞ্চ্যকর জয়নাল আবেদীন হত্যা মামলার রায়ে আটজন আসামির মধ্যে দু’জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আদালত যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিসহ আটজন আসামিকে পৃথক দুটি ধারায় বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড এবং অর্থদন্ডে দণ্ডিত করেছেন। ৮ আগস্ট জামালপুরের বিশেষ দায়রা জজ মোহাম্মদ জহিরুল কবির এ দণ্ডাদেশ দেন।

খুনের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় আসামি আব্দুল জলিল ও ইয়াকুব আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়াও দণ্ডবিধির ১৪৮ ধারায় মামলাটির আটজন আসামি আব্দুল জলিল, ইয়াকুব আলী, মোহাম্মদ খলিল, ফুলমতি, আলীমন, ফুলেছা, জয়গন বেগম ও সুনু সেককে দুই বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং দণ্ডবিধির ৪৪৮ ধারায় প্রত্যেককে এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে আসামি আব্দুল জলিল এবং ফুলেছা পলাতক রয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের ১৯ মে দুপুরে ঝড়বৃষ্টির সময় জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার কাংগালকুর্শা গ্রামের ইয়াকুব আলীর বাঁশঝাড়ের ৪/৫টি তল্লা বাঁশ প্রতিবেশী আহেজ আলী সেকের বাড়ির পাশে পাকা ইরি ধান ক্ষেতে হেলে পড়ে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষ ইয়াকুব আলী ও তার সহযোগীরা ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আহেজ আলীর ছেলে জয়নাল আবেদীনসহ তার পরিবারের লোকজনদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জয়নাল আবেদীন খুন হন। ঘটনার দিনই নিহত জয়নাল আবেদীনের সহোদর মো. আলাউদ্দিন মেলান্দহ থানায় আব্দুল জলিলসহ আটজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শেষে বিচারক আজ বুধবার এ রায় ঘোষণা করেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এপিপি মুহাম্মদ খাজা আলম। মামলাটির আসামি পক্ষ সমর্থন করেন আইনজীবী আমান উল্লাহ আকাশ।