ঢাকা ০৯:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এমবাপের প্রাইজমানির পুরোটা প্রতিবন্ধী শিশুদের দান

বাংলার চিঠি ডটকম ডেস্ক॥
বয়স মাত্র ১৯, এ বয়সেই ফ্রান্সের বিস্ময় বালক তিনি । তিনি আর কেউ নয়, বলছি কিলিয়ান এমবাপের কথা। নিজের বিশ্ব জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন প্রতিবন্ধী শিশুদের সঙ্গে। খবর দি সান এর।

সম্প্রতি শেষ হওয়া বিশ্বকাপ থেকে প্রাপ্ত প্রাইজমানির ৫ লক্ষ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ কোটি ২২ লক্ষ টাকার বেশি) তিনি দান করছেন প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থাকে।

‘প্রিমিয়ার্স ডি কার্ডিস’ নামে এ সংগঠন প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কাজ করে। যেখানে তারা ওই শিশুদের খেলাধুলার চর্চায় সহযোগিতা করে। এমবাপে সেইসব শিশুদের প্রতি নিজের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে বিশ্বকাপ থেকে প্রাপ্ত প্রাইজমানির পুরো টাকা দান করবেন সংস্থাটিকে।

সংস্থাটির জেনারেল ম্যানেজার সেবাস্তিয়ান রুফিন বলেছেন, কিলিয়ান অসাধারণ একজন ব্যক্তি। তার এ সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য অনেক আনন্দের। শিশুদের সাথে তার সম্পর্ক খুবই চমৎকার। সে সবসময় শিশুদের উৎসাহ দেয়।

বিশ্বের দ্বিতীয় দামি ফুটবলার এমবাপে বিশ্বকাপের প্রতি ম্যাচে ২২ হাজার ৩০০ ডলার করে পেয়েছেন। এছাড়া ফাইনালে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার বোনাস পেয়েছেন। সেই প্রাইজমানির পুরোটাই তিনি দান করছেন প্রতিবন্ধী শিশুদের এই সংগঠনে।

শৈশবে এমবাপে নিজেও প্যারিসের দারিদ্র পীড়িত অঞ্চলে বাস করতেন। তার ছোট্ট বেডরুম ভর্তি ছিল পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদোর ছবিতে। শৈশবে তিনি রোনালদোর মতো হতে চাইতেন। আর মাত্র ১৯ বছর বয়সেই তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ের। হয়েছেন রাশিয়ার বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান তারকা। পেলের পর দ্বিতীয় কনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোল করেছেন বিশ্বকাপের ফাইনালে।

১৯৫৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে।

সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

এমবাপের প্রাইজমানির পুরোটা প্রতিবন্ধী শিশুদের দান

আপডেট সময় ০৬:০৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই ২০১৮

বাংলার চিঠি ডটকম ডেস্ক॥
বয়স মাত্র ১৯, এ বয়সেই ফ্রান্সের বিস্ময় বালক তিনি । তিনি আর কেউ নয়, বলছি কিলিয়ান এমবাপের কথা। নিজের বিশ্ব জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন প্রতিবন্ধী শিশুদের সঙ্গে। খবর দি সান এর।

সম্প্রতি শেষ হওয়া বিশ্বকাপ থেকে প্রাপ্ত প্রাইজমানির ৫ লক্ষ ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ কোটি ২২ লক্ষ টাকার বেশি) তিনি দান করছেন প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কাজ করা একটি সংস্থাকে।

‘প্রিমিয়ার্স ডি কার্ডিস’ নামে এ সংগঠন প্রতিবন্ধী শিশুদের নিয়ে কাজ করে। যেখানে তারা ওই শিশুদের খেলাধুলার চর্চায় সহযোগিতা করে। এমবাপে সেইসব শিশুদের প্রতি নিজের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে বিশ্বকাপ থেকে প্রাপ্ত প্রাইজমানির পুরো টাকা দান করবেন সংস্থাটিকে।

সংস্থাটির জেনারেল ম্যানেজার সেবাস্তিয়ান রুফিন বলেছেন, কিলিয়ান অসাধারণ একজন ব্যক্তি। তার এ সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য অনেক আনন্দের। শিশুদের সাথে তার সম্পর্ক খুবই চমৎকার। সে সবসময় শিশুদের উৎসাহ দেয়।

বিশ্বের দ্বিতীয় দামি ফুটবলার এমবাপে বিশ্বকাপের প্রতি ম্যাচে ২২ হাজার ৩০০ ডলার করে পেয়েছেন। এছাড়া ফাইনালে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার বোনাস পেয়েছেন। সেই প্রাইজমানির পুরোটাই তিনি দান করছেন প্রতিবন্ধী শিশুদের এই সংগঠনে।

শৈশবে এমবাপে নিজেও প্যারিসের দারিদ্র পীড়িত অঞ্চলে বাস করতেন। তার ছোট্ট বেডরুম ভর্তি ছিল পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদোর ছবিতে। শৈশবে তিনি রোনালদোর মতো হতে চাইতেন। আর মাত্র ১৯ বছর বয়সেই তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশ্বকাপ জয়ের। হয়েছেন রাশিয়ার বিশ্বকাপের সেরা উদীয়মান তারকা। পেলের পর দ্বিতীয় কনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে গোল করেছেন বিশ্বকাপের ফাইনালে।

১৯৫৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে।

সূত্র : ডেইলি বাংলাদেশ ডটকম।